: এই শোনো, আজ দুস্থ সেবাশ্রম থেকে পুরোনো কাপড়চোপড় চাইতে দুজন লোক এসেছিল। : দিয়েছ কিছু? : হ্যাঁ, তোমার দশ বছরের পুরোনো শার্টটি আর গত সপ্তাহে কেনা আমার শাড়িটা দিয়েছি। মাঝরাতে মটকু ভাইয়ের স্ত্রী মটকু ভাইকে ডেকে তুলল। ফিসফিস করে বলল, এই ওঠো, ওঠো। কাল আমি যে পুডিং বানিয়ে ফ্রিজে রেখেছিলাম ঘরে চোর ঢুকে ফ্রিজ খুলে সেই পুডিং খাচ্ছে! স্বামী বিছানায় উঠে বসে বলল, কাকে ডাকব, পুলিশ না অ্যামবুলেন্স? প্রথম বন্ধু : কিরে, তোর চোখের ওপর ব্যান্ডেজ কেন? গালেও তো দেখছি চোট লেগেছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও না…
Read Moreবিভাগ: কৌতুক
গাধা আমি কোথায় পাব
মটকু ভাই : দেখ, তোমার ছেলে কী ভাবে কাঁদছে। সকাল থেকে বায়না ধরেছে গাধার পিঠে চড়ে ঘুরবে। গাধা আমি কোথায় পাব? স্ত্রী : গাধার দরকার নেই। তোমার পিঠে চড়িয়ে ঘোরাও, আর গাধার মতো ডাকো।দেখবে কান্না থেমে গেছে। মটকু ভাই প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করে। একদিন সে তার স্ত্রীকে বলল, তোমার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই। আর তাই স্থির করেছি, আমার সদ্য তৈরি ভাইরাসটির নাম দেব তোমার নামে ডালিয়া। মটকু ভাই : সিনেমার শেষে প্রধান চরিত্র মারা গেলে সেটিকে শুভ সমাপ্তি বলা সম্ভব? স্ত্রী : সম্ভব, যদি প্রধান চরিত্র হয় শাশুড়ি।…
Read Moreসে আমার সবচাইতে বড় বন্ধু
স্ত্রী : ওগো, দেখ, বাইরে থেকে একটা জুতো এসে ঘরে পড়ল। মটকু ভাই : তুমি গান চালিয়ে যাও, তাহলে এর জোড়াটাও এসে পড়বে। বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াতে গেছে মটকু ভাই। হঠাৎ বন্ধুর বউয়ের হাত থেকে চায়ের কাপটা পড়ে ভেঙে গেল। বন্ধু বলে উঠল, গেল। দশ বছরে আমার বউয়ের হাত থেকে পড়ে যত বাসন ভেঙেছে তা দিয়ে এক দোকান হয়ে যেত। শুনে মটকু ভাই বলল, কিন্তু এত ভাঙা বাসন কিনত কে? বন্ধু : আমার স্ত্রী যার সঙ্গে পালিয়েছে সে আমার সবচাইতে বড় বন্ধু। মটকু ভাই : তাই নাকি? লোকটা…
Read Moreসাড়ে চার হাজার টাকা বেরিয়ে গেছে
মটকু ভাইকে খাইয়ে নববধু সলজ্জ কন্ঠে জানতে চাইল, এভাবে পুরোটা বছর যদি রোজ রোজ তোমাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াই তা হলে বিনিময়ে আমি কী পাওয়ার আশা করতে পারি? গম্ভীর মুখে মটকু ভাই বলেছিল, আমার জীবন বীমার সব টাকা। বন্ধু : কাল আমার ছেলেটার চোখে একটা বালি পড়ল। ডাক্তার দিয়ে বের করাতে গিয়ে একশ টাকা বেরিয়ে গেল। মটকু ভাই : আরে ভাই, আমার তুলনায় ও তো কিসসু না। গতকাল বেড়াতে গিয়ে বউয়ের চোখে একটা শাড়ি পড়েছিল : একসাথে সাড়ে চার হাজার টাকা বেরিয়ে গেছে। নব বিবাহিত দম্পতির মাঝে…
Read Moreরান্নাঘরের দরজা দিয়ে বেরুনোই নিরাপদ
মটকু ভাইয়ের স্ত্রী : ট্রেন তো রাত দশটায়। বিকেল পাঁচটায় আমাদের সবাইকে ষ্টেশনে আনার মানে কী? মটকু ভাই : ষ্টেশনে আগে না এলে কী কী জিনিস বাড়িতে ফেলে এসেছি, তা তো মনে পড়বে না, তাই। ড্রইংরুমে বসে আছে দুই বন্ধু। ভেতর থেকে কান্নার শব্দ আসছে। মটকু ভাই: তোমার স্ত্রী কাঁদছে মনে হচ্ছে। বন্ধু : হ্যাঁ। মটকু ভাই: কী হয়েছে? বন্ধু : জানতে চাই নি। মটকু ভাই : সেকি। কেন? বন্ধু : যতবার কাঁদছো কেন জানতে চেয়েছি ততবারই আমার পকেট খালি হয়েছে। ভাবি : আচ্ছা, মটকু ভাই আপনাদের…
Read Moreদরজা খোলাই আছে, চলে এস
শীতের ঠান্ডায় গলা বসে গেছে মটকু ভাইয়ের, শরীরটাও জ্বর-জ্বর। তাই একটু আগে ভাগেই ছুটি নিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম করতে এলেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকতে গিয়ে দেখেন, গলা একেবারে বসে গেছে। তাই অনন্যোপায় হয়ে পাঁচিল টপকে স্ত্রীর ঘরের জানালায় টোকা দিতে দিতে ঝাপসা গলায় বললেন, দরজা খোল। প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে স্ত্রীর চাপা গলা শোনা গেল, দরজা খোলাই আছে, চলে এস। মটকু ভাই ফিরে গেলেন অফিসে। মটকু ভাইয়ের সাথে তার স্ত্রীর কথা বন্ধ। দুপক্ষের মধ্যে স্লিপ চালাচালি চলছে ছোট ছেলের মাধ্যমে। ভোরে ট্রেন ধরতে হবে, তাই মটকু ভাই লিখলেন- ভোর…
Read Moreঘুষের টাকাতেই সংসার চলবে
মটকু ভাই ডাক্তারের কাছে ফোন করে জানতে চাইছে : স্ত্রীর গলা বসে গেছে, কথা বলতে পারছে না। কী করি, বলুন তো? : রাত তিনটায় বাসায় ফিরুন। ঘুষ নেবার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে চাকরিটা চলে গেল মটকু ভাইয়ের। বিষন্ন মনে ঘরে ফিরলেন তিনি ভাই। স্ত্রী সব শুনে তার মুখে হাসি ফোটবার জন্য বললেন, বরাবরই তো দেখে আসছি তোমার মাইনের টাকার চেয়ে ঘুষের টাকাই বেশি; এবার থেকে না হয় ঘুষের টাকাতেই সংসার চলবে; এত ঘাবড়াবার কী আছে? স্ত্রী : আমি যা বলি তা তোমার এক কান দিয়ে ঢোকে অন্য কান…
Read Moreবিষ আছে বিষ!
বিবাহবার্ষিকী নিয়ে মটকু ভাই আর তার স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে স্ত্রী : তোমার কি মনে আছে, কাল আমাদের ১৩তম বিবাহবার্ষিকী? মটকু ভাই : হুমম, তো কী হয়েছে? স্ত্রী : এই দিনটি কী করে পালন করব বলো তো? মটকু ভাই : তুমি কী করবে জানি না, তবে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই মিনিট নীরবতা পালন করব। মটকু ভাই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে সকালে বাসা থেকে চলে গেছে। তাদের মধ্যে মুঠোফোনে কথা হচ্ছে মটকু ভাই : আজ রাতের খাবার কী? স্ত্রী : বিষ আছে বিষ! মটকু ভাই : ঠিক আছে,…
Read Moreদেখছ না, মাছি মারছি
মটকু ভাই আর তার স্ত্রী আদালতে গেছেন তালাক নিতে। কিন্তু মটকু ভাইয়ের স্ত্রী তালাক নিতে বা দিতে নারাজ। আদালতে হঠাৎ করেই বেশ কান্নাকাটি শুরু করলেন তিনি। বিচারক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কাঁদছেন কেন? তালাক হলে তো আপনার স্বামী আপনাকে খোরপোষ দেবেন। তাতে তো ভালোই চলে যাওয়ার কথা? স্ত্রী বললেন, আমাদের ১৫ বছর বিয়ের বয়সে ০২ জন সন্তান হয়েছে। আর তাদের খরচাপাতি ২০ হাজার টাকার উপরে। বিচারক বললেন, তাতে সমস্যাটা কী? ভদ্রমহিলা বললেন, কিন্তু বিয়ের সময় আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, তালাক হলে সব দায়ভার আমাকেই বহন করতে হবে। বসে বসে পতি…
Read Moreএই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?
স্ত্রীর সাথে রাগরাগী করে মটকু ভাই বাসা ছেড়ে চলে গেল। কিছুদিন পর রাগ কমলে একটি কুকুর নিয়ে বাসায় ফিরে এল… এটা দেখে মটকু ভাইয়ের স্ত্রী বলল, এই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন? মটকু ভাই রেগে বলল, বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা এলসেসিয়ান কুকুর! আমি তো কুকুরকেই জিজ্ঞেস করেছি। মটকু ভাই আর তার স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা নিয়ে কথা হচ্ছে মটকু ভাই : তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি। স্ত্রী : তাই নাকি! মটকু ভাই : জানো, তোমার জন্য আমি পৃথিবীর শেষ সীমানা পর্যন্ত যেতে পারি। স্ত্রী : হুমম, কিন্তু কথা দাও, তুমি…
Read More