অজানা কথা ১
বিস্ময়কর ঘটনা…..যার আসল সত্য জানা যাবে কিনা জানি না ২০১১ তে বেশ হইচই করে বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকা তৈরি করা হলো। সেইবার বাংলাদেশও আশায় বুক বেঁধেছিল কক্সবাজার আর সুন্দরবন নিয়ে। যদিও চূড়ান্ত তালিকায় এই দুইটি স্থান আর নির্বাচিত হয়নি। সে যাকগে, নতুন তালিকায় স্থান পাওয়া সপ্তাশ্চর্য নিয়ে আমরা সবাই মোটামুটি জানি। আজ আমরা গল্প করবো সপ্তাশ্চর্যের পুরনো তালিকা নিয়ে যাদের কথা যুগ যুগ ধরে মানুষ শুনে এসেছে,এমনকি সেই তালিকার কোন কোন স্থানের বাস্তব অস্তিত্ব না থাকার পর-ও। ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস এবং জ্ঞানী ক্যালিম্যাকোস আলেক্সান্দ্রিয়ার জাদুঘরে বসে এই তালিকা তৈরি করেন বলে বিভিন্ন লেখা থেকে জানা যায়।কিন্তু তাদের তৈরি করা মূল তালিকার পান্ডুলিপির কোন নিদর্শন এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদের তৈরি করা তালিকাতে স্থান লাভ করেছিল, গিজার গ্রেট পিরামিড, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান,অলিম্পিয়ার গ্রীক দেব-রাজ জিউসের মূর্তি,এফিসিউসে আর্টেমিস-এর মন্দির,হ্যালিকার্নেসাস এর সমাধি, রোডস এর কলোসাস এবং আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘর। এই তালিকার মধ্যে গিজার পিরামিডই শুধু এখন পর্যন্ত টিকে আছে।
১) ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য তালিকার অন্তর্গত এই পৌরাণিক উদ্যানের প্রকৃত অবস্থান আজ পর্যন্ত নির্ণয় করা যায় নি। বলা হয়ে থাকে এটি ইরাকের ব্যাবিলন শহরে(বর্তমানের হিল্লাহ শহরের নিকটে,ব্যাবিল প্রদেশের অন্তর্গত) অবস্থিত ছিল। ২৯০ খ্রিস্টপূর্বে ব্যাবিলনের একজন পুরোহিত বেরুসাসের লেখা থেকে জোসেফাস নামের এক ব্যক্তি জানান, নিও-ব্যবিলনীয় রাজা নেবুচাঁদনেজার তাঁর রাজত্বকালে (৬০৫-৫৬২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এই ঝুলন্ত উদ্যান তৈরি করেন। দূর্ভাগ্যক্রমে, এই বক্তব্যের সপক্ষে কোন ব্যবিলনীয় প্রামাণ্য দলিল নেই এবং ব্যাবিলনের কাছে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই উদ্যানের কোন চিহ্ন বা ধ্বংসাবশেষ আজো খুঁজে পাননি। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ধরে নেয়া হয়,ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের ব্যপারটি আসলে নেহাতই কিংবদন্তী,আর কিছু নয়।
২.. পৃথিবী, গ্রহ, উপগ্রহ সবই এক একটি অজানা রহস্যের ভান্ডার। বতর্মান আধুনিক বিশ্বে এসেও এমন অনেক বিষয় আছে যা অজানা রহস্যে আবৃত। যার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে কিন্তু সেসব অজানা রহস্যের কোন কূল কিনারা করতে পারছেনা।
৩. বতর্মান বিশ্বের তেমনই একটি রহস্যাবৃত, অনুদঘাটিত বিষয় হচ্ছে ইউএফও বা ফ্লাইং সসার। UFO আকাশে উড়ন্ত অদ্ভূত রহস্যময় এক ধরনের অচেনা বস্তু। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বহুবার দেখা গেছে!
৪. মানব পরিচিত পৃথিবীর কোন বস্তুর সাথে এর মিল নেই। মহাকাশে উড়ন্ত অচেনা এই বস্তু নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীদের পক্ষে এই রহস্য উদঘাটন করা আজও সম্ভব হয়নি।ফ্লাইং সসার নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুূলের শেষ নেই!
৫. UFO শব্দের পূর্ণরুপ হচ্ছে Unidentified Flying Object. বাংলায় এর অর্থ অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু যা ফ্লাইং সসার নামে পরিচিত। এটি বিভিন্ন আকৃতির হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি চাকতির মতো ও
Facebook Comments Sync