দুপুরচন্ডির প্রতীক্ষা – পর্ব ২

দুপুরচন্ডির প্রতীক্ষায় আফরোজা অদিতি

ইথিকা গভীরভাবে ঢুকে যায় নিজের মধ্য।; মনে পড়ে আগের কথা,এ যেন পূর্বজন্মের স্মৃতি! সেদিনটা ছিল সোমবার। অফিস ছুটি। দুপুরে খেয়ে দেয়ে একটা ভাত ঘুম দিয়ে বিকেলে ঘরেই ছিল ও। বই পড়ছিল। ছোট বোন অর্পি ভয়ার্ত মুখে কাছে এসে দাঁড়ায়। ‘কি রে কি হয়েছে।’ ‘তমিজ ভাই রেল লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।’ তমিজ এর আগেও কয়েকবার এ বাড়িতে এসেছে। বাড়ির সকলের সঙ্গেই পরিচয় হয়েছে ওর। ইথিকা চাকরি করছে একবছর। ওখানেই বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব মানে তেমন কিছু না। তমিজ ভাল কাজ জানে । তাই ওরই কাছে কাজ শিখতে বলেছে ওর সুপিরিয়র। এইটুকুই। অর্পির কথায় অবাক হয় ইথিকা। তমিজ রেললাইনে দাঁড়িয়ে কেন? অর্পির কন্ঠ শুকিয়ে গেছে, কথা বলতে পারছে না। বাসা থেকে রেললাইন দেখা যায়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে তমিজ রেললাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ওখানে কি করছে তমিজ, বুঝতে পারছে না ইথিকা। জিজ্ঞেস করে অর্পিকে। ‘তোমার সঙ্গে যদি বিয়ে দেওয়া না হয় তাহলে আত্মহত্যা করবে। মাকে বলে গেছে।’ কোন মতে কথা শেষ করে অর্পি।

   ইথিকার তিন মাস আগের কথা মনে পড়ে। কাজ করতে করতে তমিজ বলেছিল,‘আপনার সঙ্গে কথা আছে। বিকেলে এক সঙ্গে যাবো।’ ওরা হাঁটতে হাঁটতে মতিঝিল পার হয়ে নটরডেম কলেজের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল। ইথিকা বলেছিল, ‘অনেক দূর তো এলেন কিছু বললেন নাতো।’ ‘আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।’ তমিজের কথায় কোন ইতস্তত ভাব নেই। ইথিকা আশ্চর্য!

:আমাকে বিয়ে করবেন আপনি! কেন?’

:ভাল লাগে তাই।’

:ভাল লাগে!’

কন্ঠে একটু ব্যঙ্গের ছোঁয়া ওর।

: পাগলামী করবেন না। বাড়ি যান। আমি বিয়ে করবো না। তাছাড়া অমি অপয়া অলক্ষ্মী। বিয়ের দিন আমার স্বামী মারা গেছে। যান। বাড়ি যান। কথা বাড়াবেন না আর।’ ইথিকাও আর কথা বাড়ায়নি। সামনে একটা খালি রিকশা পেয়েই উঠে বসেছিল। পেছনেও তাকায়নি। এরপর তিন মাস সহজ স্বাভাবিক আচরণ করেছে তমিজ। ও তো ভেবেছে ঠিক হয়ে গেছে সব; তমিজ ভুলে গেছে সব কথা। কিন্তু এখন এ কি মুসিবত খাড়া করেছে তমিজ!

অনেক কষ্টে ফিরিয়ে আনে তমিজকে। বাড়ি ফিরে হাউমাউ কান্না জুড়ে দেয়।বিয়ে দিতেই হবে। না হলে এ জীবন রেখে কি লা!। মা নিশ্চুপ। ওর কথা শুনে কান্না দেখে ইথিকার মনের মধ্যে ওলোট পালোট হয়ে যায়। কথা দিয়ে ফেলে; আর কথা দিয়ে ফেললে তো আর তুলে নেওয়া যায় না। ইথিকা কখন দেয়া কথার খেলাপ করতে পারে না। এই আদর্শে বড় হয়নি ও। ওর জীবনের সব চেয়ে বড় আদর্শ হলো কথা দিয়ে কথা রাখা।

:কই চলো।

ইথিকা নিজের মধ্যে এমনভাবে ডুবে ছিল যে তমিজের কথায় ভীষণভাবে চমকে ওঠে ও।

:কি ব্যাপার চমকে উঠলে যে।’

:না কিছু না। বাড়িটা দেখছিলাম। এত বড় বাড়ি। এত গাছ-গাছালি, অথচ অদ্ভূত ভুতূড়ে অন্ধকার।’

:হ্যাঁ। গাছ কাটতে দেয় না বাড়িওয়ালা। ‘

:কেন, গাছ কাটবে কেন? গাছ কাটা তো ঠিক নয় বরং আগাছা পরিষ্কার করে সবজি বাগান করা যায়। ফুল গাছ লাগানো যায়। গাছ তো পরিবেশ রক্ষা করে।

ইথিকার কথায় মনে মনে চটে যায় তমিজ। তা প্রকাশ করে না। শুধু বলে,

:আর কথা নয়, চলো। মেয়েদের এই এক স্বভাব। ভাবখানা বেশি জানে। তোমাকে বললাম না, এ বাড়ি ছেড়ে দেব। বেশি জানো ভাব দেখাবে না তো।

অসন্তুষ্টির ভাব দেখাতে না চাইলেও তমিজের কণ্ঠে তা প্রকাশ পেয়ে যায়।

: কি বললে?

 ইথিকার কণ্ঠে কষ্ট খেলা করে। ওর কষ্টে আনন্দিত হয় তমিজ! ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলে তমিজ বলে,

: কিছু না, চলো। এ বাড়ির লোকজন সব কি মরেছে। একজন মানুষ  এলো, কেউ দেখতে পর্যন্ত এলো না।

চিৎকার করে তমিজ; ওর চিৎকারে অবাক হয় ইথিকা। এ বাড়ির কাউকে দেখতে না পেয়ে যতটা না অবাক তার চেয়েও বেশি অবাক তমিজের হঠাৎ রেগে যাওয়ায়। এই মানুষটার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট হবে কি করে তাই ভাবে মনে মন!; আদৌ অ্যাডজাস্ট করতে পারবে কিনা তা-ও ভাবে! কিন্তু ওর মনে ঠাঁই নেয় অ্যাডজাস্ট করবে কি করবে না! পারা বা না-পারা বড় ব্যাপার নয়; আসল ব্যাপার হলো করবে কি করবে না! করা না করার প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দেয় মনে!

 

  তমিজ যেমন হাঠৎ রেগে যায় তেমনি আবার থেমেও যায়। বলে,

:চলো।

চাটাই এর বেড়া দেওয়া ঘরের দরোজায় এসে দাঁড়ায়  ওর। ঘরে একজন মধ্যবয়সী মহিলা। খালি গা, মাথায় ঘোমটা, কোরান শরীফ পড়ছে। ওদের দেখে কাগজে বানানো আলিফটা পড়া শেষের স্থানে রেখে কোরান শরীফ বন্ধ করে রেহেল উঠিয়ে রেখে ওদের সামনে এসে দাঁড়াতে তমিজ বলে,

: ইথিকা, আমার মা।

ইথিকা সালাম করে। সালামের কোন জবাব দেয় না তমিজের মা! মানুষকে সালাম করলে আশির্বাণী তো উচ্চারণ করে মানুষ, নিদেনপক্ষে মাথায় হাত রাখে; এ মহিলা কিছুই করলো না। শুধু তাই নয় একটাও কথা বললো না তমিজের মা। এমন কি তাকালো না পর্যন্ত। বুকের ওপর চেপে বসা ভারি পাথরের মতো লাগে এই পরিবেশ! এতটা হবে ভাবেনি ইথিকা। এরকম পরিবেশ যাতে না হয় সেজন্যই তো তমিজকে বাড়ি পাঠিয়েছিল ইথিকার বাবা। বিয়ে হয়েছে দুপুরে; বিকেলে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। তমিজ সে রাতে এ-বাড়িতে ফেরেনি!  

  সকালে নাস্তার টেবিলে সকলে এক সঙ্গে হয়েছে। মা প্লেটে তুলে দিচ্ছে পরোটা ডিম ভাজি, বাটিতে সেমাই, মিষ্টি। সকলেই খাওয়ায় ব্যস্ত। এমন সময় ডোরবেল বাজে!  দরোজা খুললেন মা; অবাক মা! বলেন,

:তুমি!

তমিজ কোন কথা বলে না। খাবার টেবিলে আর একটা থালা দিয়ে মা বলেন,

:বস, বাবা।

তমিজ নাস্তার টেবিলে বসে যায়! খেতে খেতে কথা বলেন বাবা।

:দেখ তমিজ, বিয়ে করতে চেয়েছো, দিয়েছি। আমাদের বিয়েতে মত ছিল না তবুও দিয়েছি। বিয়ে দিলেও আমরা মেয়েকে তোমার সঙ্গে তোমাদের বাড়ি যেতে দিতে পারি না। ওকে যদি তোমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাও তবে তোমার গার্জেনকে নিয়ে এসো। যদি ওনারা কেউ না আসেন তবে যাবে না ইথিক।; এখানেই থাকবে,  সেইসঙ্গে তুমিও।

 বাবার অলংকারহীন কথাগুলো অবাক হয়ে শুনে যায় তমিজ! খাওয়া ভুলে যায়! একটু চুপ করে থাকে। তারপর মিনমিনে সুরে বলে,

:ঠিক আছে।

 তমিজের কথা বলার ভঙ্গি দেখে বুঝে যায় ইথিকা, বাবার কথা পছন্দ হয়নি ওর। পছন্দ না হলেও নাস্তা শেষ করেই বাড়ি গিয়েছিল তমিজ। এসেছে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায়; সঙ্গে কেউ নেই, একা। মা রাতের রান্নার জন্য চাউল বাছছিলেন। বিস্মিত হন! তমিজ ঢোকার পর দরোজার দিকে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ।

: কি ব্যাপার একা এলে, আসেনি আর কেউ।’

মায়ের কথায় বলে তমিজ,

: না। কেউ আসেনি।

    মা একটা নিঃশ্বাস ফেলে চলে যান রান্নাঘরে। রান্না বসানো এক ছুতা মাত্র। তমিজের সঙ্গে এখন কথা বলতে ইচ্ছা করছে না মায়ের। মা ভাবছেন, ভুল করলো নাতো! এ বিয়ে না হলেই কী ভালো হতো? ওখানে ভালো থাকবে কী ইথিকা? তমিজের পোশাক-আশাক ও ভাল লাগেনি মায়ের। নতুন শ্বশুরবাড়ি। এখানে কেউ কি আসে এভাবে। তমিজ ঘরে ঢুকতেই ঘিরে ধরে শালা-শালিরা। ‘কি ব্যাপার দুলাভাই, গেলেন সকালে প্যান্ট পরে আর এলেন লুঙ্গী পরে। তাও দিন শেষ করে রাতে। এ্যামা, লুঙ্গী তাও আবার ছেঁড়া।’ টিপ্পুনি কাটে শিমুল। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে অর্পি আর শিমুল। শিমুল এবার এস.এস.সি পাশ করেছে। ইথিকার যমজ ভাই পিয়াস এবং বোন অর্পি। ওরা তিনজনই ঘিরে রেখেছে তমিজকে। শিমুল ওদের মামাতো ভাই। থাকে এখানেই। ওদের হাসতে দেখে লজ্জা পায় তমিজ। ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড রাগও হয় ওর। এই রাগ কার ওপর সঠিকভাবে নিজেও জানে না। ওর নিজের ওপর, না বাবা মায়ের ওপর নাকি এই পরিবারের ওপর। চুপ করে থাকে তমিজ। তমিজকে চুপ করে থাকতে দেখে এবারে কথা বলে পিয়াস।

: কি ব্যাপার দুলাভাই, কথা বলছেন না কেন?’

একটু সহজ হতে চেষ্টা করে তমিজ।

: এই লুঙ্গী পরে শুয়েছিলাম তো, হঠাৎ তোমাদের কথা মনে পড়ে গেল, তাই।

: আমাদের কথা মনে পড়লো নাকি দাবড়ানি খেয়েছেন! দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে দাবড়ানিই খেয়েছেন আপনি।

কথা বলে শিমুল। তমিজ কথা শুনে চুপ করে থাকে।

: কথা বলছেন না কেন দুলাভাই। কি হয়েছে, বলুন

’ অর্পি এগিয়ে আসে।

:এই দুলাভাই বলুন না। বলুন, বলুন।

তমিজ বলতে চায়নি। অর্পির চাপাচাপিতে বের হয়ে আসে আসল কথা।

:ওরা আটকে রেখেছিল তো, পালিয়ে এসেছি।

: কারা আটকে রেখেছিল?

বিস্ময়ে চোখ বড় বড় হয়ে যায় অর্পির।

: আব্বা,আম্মা আর চাচা।

একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে তমিজের।

    তমিজের চাচা ব্যাংকে চাকরি করন। খুব একটা খারাপ চাকরি করেন না তিনি। বিয়ের কথা শুনে বড় ভাই ডেকে এনেছে ছোট ভাইকে। বড় চাকরি করে এম.এ পাশ; ভালো করে গুছিয়ে কথা বলে বুঝাতে পারবে তমিজকে।  ভাই-এর কথা অমান্য করতে পারেনি ছোট ভাই। বাড়িতে এসে চাচার ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। অনেক বুঝিয়েছেন। ভয় দেখিয়েছেন। কথাও বলেছেন যা বলা যায় তাও, যা বলা যায় না তাও। তিনি বারবার বউয়ের বৈধব্যের ওপর জোর দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বিধবা মেয়ে মানুষ! অলক্ষ্মী অপয়া! ওকে বিয়ে করলে সংসারে অশান্তি হবে, কখনও শান্তি আসবে না। বিধবা বিবাহ চালু হয়েছে বলে কি বিধবা বিবাহ করতে হবে?’ এই কথায় তমিজ বলেছে, ‘হবে না অশান্তি। সে ব্যবস্থা আমার আছে। সংসারে টাকা নেই, টাকা আসবে। পাঁচ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে। তাছাড়া ওর বাবার সম্পত্তি অনেক। ভাগাভাগি হলে তো অনেকখানি পাবে, আর নিজের ‘বউ’ পাওয়া মানেই তো আমার পাওয়া আর আমার মানেই তো এ বাড়ির সকলের।’ তমিজের কথায় বাবা রেগে যান আরও। ‘টাকা, সম্পত্তিই কি সব; হ্যাঁ।’ বাবার কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে তমিজ তারপর বলে, ‘আব্বা আপনাকে যদি সব টাকা দিয়ে দেয় তাহলে কি আপনার ভাল লাগবে না! আপনার সংসার চালাতে কতো সুবিধা হবে ভেবে দেখেন! এখন তো কতো কষ্ট করে অল্প টাকাতে সংসার চালাচ্ছেন!’  তমিজের বাবা মনে মনে হিসাব কষেন। পাঁচ হাজার টাকা প্রতি মাসে, কম নয়! তমিজের বাবার চোখে চিক চিক করে লোভ। কিন্তু চাচার এক গোঁ। তিনি বলেন, ‘দেশে কী মেয়ের আকাল যে এমন বিয়ে বিয়ে করতে হলো! এ বউ বাড়িতে আনলে এ বাড়ির সঙ্গে কোন সম্পর্ক থাকবে না আমার। এখনই তালাক দে। দেন মোহরের টাকা আমিই দেব।’ তমিজ তালাক দিতে অস্বীকার করে। মনে মনে বলে, তুমি চাচা কি পাঁচ টাকা দেবে? দেবে না। যা দিবে না তার আবার এতো কথা কেন? তমিজ জানে, শুধু জানে না ছোট থেকে দেখে এসেছে এই চাচা কখনও একটা টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি। ওদের সাহায্য করার মতো মন-মনসিকতা নাই এই চাচার! শুধু বড় বড় কথা আছে তার!

    তমিজ গোঁ ছাড়েনি। তাই দেখে চাচাই আটকে রেখেছিল ওকে। পরে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলাতে দরোজা খুলে দেয় বোন টুম্পা। বাথরুমে না গিয়ে চলে এসেছে এখানে। কিন্তু এতসব কথা কি বলা যায়! যায় না। তাই চুপ করে থাকে তমিজ। এবারে শিমুল, পিয়াস ঘিরে ধরে তমিজকে। ‘আটকে রাখবে কেন আপনাকে। এটাতো অন্যায়।’ তমিজ তাড়াতাড়ি বলে, ‘না না, ওদের কোন দোষ নেই। দোষ আমারই। আমি ওদের বড় ছেলে। আমাকে নিয়ে ওদের সাধ আহ্লাদ তো থাকতেই পারে। আর থাকতেই পারে বলি কেন, থাকবেই। আমি ওদের সাধ আহ্লাদ, আমোদে…………….।’  শিমুল কথার মাঝখানে থামিয়ে দেয় তমিজকে। ‘ওদের অমতে বিয়ে করা ঠিক হয়নি আপনার।’ এরপর আর কথা এগোয় না; সবাই চুপচাপ! কথা বলে না কেউ। শিমুল পিয়াস চলে যায় ওদের ঘরে। অর্পিও। তমিজ ভাবে, বাবা-মায়ের অমতে বিয়ে করাটা ঠিক হয়নি মোটেই। এখানে ইথিকার মা, বাবাকে দেখে ঘাবড়ে গেছে রীতিমতো। আর শালা-শালিরাও এক-একটা বিচ্ছু। এতোটা লোভ করা ঠিক হয়নি। বাড়ির অবস্থা ভালো না দেখেই চাকরি করা মেয়ে খুঁজছিল। আর ইথিকাকে পেয়েও গেল। পছন্দও হলো। সহজ সরল মেয়ে। ওর ধারণা ইথিকাকে যা বলবে তাই করবে ও। এমনিতে না করলেও একটু ধমক-ধামক দিলেই সুড়সুড় করে ওরই বাতলানো রাস্তায় চলবে। এ ছাড়াও আর একটা কারণ এ বিয়ে করার পেছনে। প্রতিশোধ। ওকে ফিরিয়ে দেওয়া, ওকে বিয়ে করতে না চাওয়ার অপমান করার প্রতিশোধ। সেইজন্যই তো এতো নাটক! নিজের মনেই হাসে তমিজ!

( চলবে)

আফরোজা অদিতি
আফরোজা অদিতি