দুর্বিষ​হ জীবন

দুর্বিষ​হ জীবন

‘জীবন এর নাম যদি রাখা হয় ভুল’ এই গানটা যতবার শুনি ততবারই ভাবি, শুধু জীবনের প্রতেকটা ক্ষেত্রেই ভুল করলে তার মাসুল দিতে হয়। যেমন ভাবি, কেন ঢাকায় আসলাম, আবার এটাও ভাবি, যদি এসেই পড়লাম তবে এত দেরিতে কেন। সেখানেও প্রায় একই উত্তর, জন্ম যে আমার পরে তাই ভুলটা আমার নয় জন্মের। শিক্ষা ,চিকিৎসা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, চাকুরি সব ক্ষেত্রেই আমরা ঢাকায় চলো নীতিতে বিশ্বাসী। দিন দিন ঢাকার রাজপথ এমন দুর্বিষ​হ হয়ে উঠছে যেন সেখানে লাশ​ বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সকেও আমরা সাইড দিতে চাই না। মানবতা আজ বাস্তবতার কানে কেঁদে মরছে। চীৎকার করে বলি, ‘ভাইয়েরা আমার বোনেরা আমার,’ কিন্তু মনে মনে বলি, ‘আপন নয় সৎ ভাইবোন।’ মাঝে মাঝে এমন অসংগতি চোখে পড়ে যে, বলতে ইচ্ছে হয় অনেক কিছু, কিন্তু বাস্তবতা হলো তাতে প্রমিকের কি আসে যায়। সরকার থেকে যারা এর সমাধান করতে চায় তারা নিজেরাই যানজট এ পড়ে আছে। সরকার যেন সমস্ত​ অসুস্থ ব্যক্তিকে চাকুরিতে নিয়োগ দিয়েছেন, নয়ত সুস্থ​ মানুষেরা চাকুরিতে জয়েন করে অফিসে হাজিরা না দিয়ে নিয়মিত হাসপাতালে হাজিরা দিচ্ছেন। কোন সরকারী কর্মচারীকে যদি প্রশ্ন করেন, ‘ভাই কেমন আছেন?’ বলবে, ‘ভাল আছি একটু গ্যাস্টিক এর সমস্যা আর বহুমূত্র​ তো জেনেটিক, এটাতে আমার কিছু করার নাই।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কোন এক সাংবাদিক এই প্রশ্ন করলে তিনি খুবই মন খারাপ করে বলেন, অসুস্থতা কোন কাজের অজুহাত হতে পারে না। কারণ​ তিনি ফাঁকিবাজি পছন্দ করেন না। আর অসুস্থ কথাটা শুনতেও চান না। প্রধানমন্ত্রী যেমন প্রতিদিনের কাজের রুটিন মেনে চলেন কর্মচারীরা মনে হয় তার উল্টা। যদি বিশ্বাস না করেন তা হলে বুঝবো, আপনি সরকারী কর্মচারী। আর যদি তা না হন তো কোন সরকারী অফিসে গিয়ে দেখতে পারেন। ব্যাংক এর কথা তো বললামই না।

ফিরোজ শ্রাবন
ফিরোজ শ্রাবন