সাধুবাবার সাথে দেখা

মটকু ভাই

মটকু ভাই

মটকু ভাই তার বন্ধু আবুলের সাথে নৌকায় ঘুরতে বের হলো। হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় উঠলো। কোনরকমে তীরের কাছে একটা ফার্ম হাউজে এসে উঠলো ওরা।

দরজায় ধাক্কা দিতে একজন সুন্দরী মহিলা দরজা খুললো। দুই বন্ধু রাতে থাকার জন্য তার কাছে আশ্রয় চাইল। মহিলাটি বলল, কিছুদিন হলো আমার স্বামী মারা গেছেন। আমি তোমাদেরকে আমার বাড়িতে জায়গা দিলে লোকে নানা কথা বলবে। মটকু ভাই বলল,

ঠিক আছে, ম্যাডাম। আমরা বুঝতে পেরেছি। আমরা আস্তাবলে শুতে পারবো।

মহিলা তাতে রাজি হলেন এবং দুই বন্ধু আস্তাবলে শুয়ে পড়লো।

মটকু ভাই ঘুমিয়ে পড়লো। আবুল মাঝরাতে মহিলার রুমে আরো জ্বলতে দেখে সেখানে চলে গেল। ঘণ্টাতিনেক পরে ভোরে আবার এসে মটকু ভাইয়ের কাছে শুয়ে পড়ল।

মটকু ভাই কিছুই টের পেল না। নয় মাস পর,মটকু ভাই সেই বিধবা মহিলার উকিলের কাছ থেকে একটা চিঠি পেল।

মটকু ভাই বন্ধু আবুলের কাছে গিয়ে বলল, আচ্ছা বন্ধু মনে আছে, আমরা কয়েক মাস আগে এক ফার্মহাউজে এক সুন্দরী বিধবার দেখা পেয়েছিলাম?

হ্যাঁ, মনে আছে।

তুই কি ঐ রাতে ঘুম থেকে উঠে মহিলার সাথে কিছু করেছিলি?

হ্যাঁ, স্বীকার করি, করেছিলাম।

তুই কি তখন তাকে নিজের নাম ঠিকানা না বলে আমার নাম ঠিকানা বলেছিলি নাকি আমার ভিজিটিং কার্ড রেখে এসেছিলি?

দোস্ত, মাফ করে দে, বলেছিলাম। আমার ভুল হয়ে গেছে। আবুল ধরা পড়ে বলল।

নারে বন্ধু, বরং তোকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি…মটকু ভাই হেসে বলল, .ঐ বিধবা কয়েকদিন আগে মারা গেছে। তিনি তার সব সম্পত্তি আমার নামে করে গেছে! এখন আমি …হা হা হা…

 

 

মটকু ভাই এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে গেছে। সেখানে একজন সাধুবাবার সাথে তাদের দেখা। মেয়ে বন্ধুটি সাধুবাবাকে জিজ্ঞেস করল,  বাবা,একটা মেয়ে যদি ৫ টা ছেলের সাথে শোয় তাহলে সমাজ তাকে নষ্টা বলে, কিন্তু যদি একটা ছেলে ৫ টা মেয়ের সাথে শোয় তাকে সুপুরুষ বলা হয় – এ বৈষম্যের কারণ কী?

সাধুবাবা বলল, শুনো বৎসে, যেই তালা ৫ টা চাবি দিয়ে খোলা যায় তাকে নষ্ট তালা বলে, কিন্তু যেই চাবি দিয়ে ৫ টা তালা খোলা যায় তাকে বলে মাস্টার কি!