তুমি এলে/ সৌরভ ভূঞ্যা 

তুমি এলে

তুমি এলে

আজ ২৫ বৈশাখ  (কবিগুরুকে নিয়ে কবিতা)

তুমি এলে/ সৌরভ ভূঞ্যা 

 

তুমি এলে তাই,

সাহিত্যের অন্ধকারতম মেঘ ভরা

আকাশে ফোটে রবির প্রকাশ।

 

তুমি এলে তাই,

গানে বাজে ঝংকার।

 

তুমি এলে তাই,

“জল পড়ে, পাতা নড়ে”।

 

তুমি এলে তাই,

“রক্তকরবী” ফোটে।

 

তুমি এলে তাই,

“ডাকঘর” হতে “পোস্টমাস্টার”

“ইউরোপ-প্রবাসীর পত্র” নিয়ে আসে।

 

তুমি এলে তাই,

মনে “ভিখারিণী” প্রতি

“করুনা” “বনফুল” ফোটে।

 

তুমি এলে তাই,

এ “ভগ্নহৃদয়” আপন “শেষলেখা” য়

“শেষকথা” জানিয়ে দিয়ে যায়।

 

তুমি এলে তাই,

“মালিনী” “সন্ধ্যাসঙ্গীত”

গেয়ে “নৈবেদ্য” দেয়।

 

তুমি এলে তাই,

“ঠাকুরদাদা” “গিন্নী” সাথে

“বউঠাকুরানী হাট” এ যায়।

 

তুমি এলে তাই,

“রুদ্রছায়া” “গীতাঞ্জলি” সাথে আসে।

 

তুমি এলে তাই,

আজও আমার “সোনার বাংলা”

“মৃত্যুঞ্জয়ী” হয়ে আছে।

 

তুমি এলে তাই,

আজও “জন-গণ-মন” বাজে।

 

তুমি এলে তাই,

বাঙালি আজও

মাথা উঁচু করে বাঁচে।

 

তুমি এলে তাই,

“হেথায় আর্য্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড়-চীন,

শক-হন দল, পাঠান-মোঘল এক দেহে হল লীন”।

 

তুমি এলে তাই,

হে “গুরু”, হে “তপস্বী”,

হে মোর প্রিয় কবি

মোর অন্তরের রবি,

আজি এ হৃদয়ের গভীর হতে –

“লহ এ প্রনাম

জীবনের পূর্ন পরিনাম।

এ প্রণতি’পরে

স্পর্শ্ব রাখো স্নেহভরে।

তোমার ঐশ্বর্য-মাঝে

সিংহাসন যেথায় বিরাজে

করিও আহ্বান,

সেথা এ প্রণতি ‘মোর পায় যেন স্থান”।

( সংগৃহীত)

সৌরভ ভূঞ্যা
সৌরভ ভূঞ্যা