মটকু ভাই

মটকু ভাই

মটকু ভাই

অজুহাত

 

বাজার করতে গিয়ে মটকু  ভাই বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে গেল। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আড্ডা দেওয়ার পর বাজার করে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো। হাঁটতে হাঁটতে বউয়ের কথা মনে পড়তেই তার শরীর কাঁপতে লাগল। কারণ, সে যে পরিমাণ দেরি করেছে তাতে বউ তাকে আস্ত রাখবে না। কিন্তু বউয়ের হাতে মার খেলে যেহেতু মানসম্মান থাকবে না, তাই সে বাঁচার জন্য একটা পথ খুঁজতে লাগল। খুঁজে খুঁজে পেয়েও গেল। তার ব্যাগে ছিল চিংড় মাছ। চিংড়িগুলো তখনো জীবিত ছিল। সে সিদ্ধান্ত নিল, চিংড়িগুলোকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। করলোও তা-ই। বাড়িতে পৌঁছেই সে উঠোনে ছেড়ে দিল চিংড়িগুলো। বউ তার সামনে এসে দাঁড়াতেই মটকু  ভাই চিংড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল, এই হাঁট হাঁট। জোরে হাঁট। এত আস্তে আস্তে হাঁটছিস বলেই তো তোদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে এত দেরি হল।

 

জুয়েলারি

 

জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশে মটকু  ভাই আর তার স্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে।

স্ত্রী : (ধমকের স্বরে)  কোথায় তুমি?

মটকু  ভাই : প্রিয়তমা, তোমার কি সেই জুয়েলারির দোকানটার কথা মনে আছে, যে দোকানের একটা গয়নার সেট তুমি পছন্দ করেছিলে এবং বলছিলে, ইস! যদি এটা কিনতে পারতাম?

স্ত্রী : (গদগদ স্বরে) হ্যাঁ প্রিয়তম, মনে আছে!

মটকু ভাই : আমি সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছি।

 

এত আনন্দ

 

স্ত্রী : কখনো ভেবে দেখেছ, আমি একদিন মরে যাব।

মটকু  ভাই : না না! তুমি মরে গেলে আমিও যে মারা যাব!

স্ত্রী : কিন্তু কেন?

মটকু ভাই : কারণ এত আনন্দ আমি সহ্য করতে পারব না!