আমার আগষ্ট নিয়ে কবিতা নেই/ রানা জামান
আমার আগষ্ট নিয়ে কবিতা নেই/ রানা জামান
আমার আগষ্ট নিয়ে কোনো কবিতাই নেই
কলম খাতায় ধরলে চুঁইয়ে পড়ে রক্ত
পাইপের ছাই তুলে নিয়েছি কলমে
এতো শ্বাস এতটুকু ছাই-এর মধ্যে!
চোখ ঝাপসা হয়ে রক্তে ভিজে যায় খাতা
বত্রিশ নম্বর বাড়ির সিঁড়িতে পারি না পা রাখতে
অদৃশ্য রক্তের দাগগুলো দু’হাত বাড়িয়ে কাছে টানে
বঙ্গবন্ধুর দেহটা স্পষ্ট দেখতে পাই
তাঁর চোখে কোনো কান্না নেই হাসি অমলিন
তখন মাথায় ঝিম ধরে অনুভূতিগুলো বোধহীন
এতো আর্তনাদ এতো চিৎকার ছাপিয়ে যায় গুলির শব্দকে
খাকি পোষাকের মানুষ সীমার ছাড়িয়ে যায়
প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে হৃদয়ে হাজার পদ্য
পনেরো তারিখে রক্তে ডুবে থাকতেই একুশে আগষ্ট
গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হাজার শিষ্যের দেহ
কত প্রিয় মানুষ হারিয়ে গেছে বিস্ফোরণের ধোঁয়ায়
আগষ্ট শোকের মাস হয়ে গেঁথে আছে বাঙালির মনে
সবার মনেই অসংখ্য বেদনাবিধুর কবিতা জন্মে সততই
আমার আগষ্ট মাস নিয়ে কোনো কবিতা হয় না
কলমের কালি কেবলই রক্ত হয়ে যায়
অশ্রুজলে ভিজে যায় সকল লেখার খাতা
অনুভূতি বিহীন কলম পেলে হয়তো কিছু হতো
পৃথিবীতে অনুভূতিহীন কোনো কলমই নেই
অনুভূতি বিহীন মানুষ হাজার হাজার
মীর জাফর জগৎ শেঠ নিজামী মুসতাক…..।
২।
টুঙ্গিপাড়ার বৃক্ষলতা বলবে কথা
শেখ মুজিবকে জানতে তোমরা যদি চাও
শহর ছেড়ে বৃক্ষের ছায়ায় টুঙ্গিপাড়ায় যাও
টুঙ্গিপাড়ায় শুয়ে আছেন যেমন ছিলেন আগে
শিশুকালে মায়ের আদর
খেলতে গিয়ে খানিক বাদর
ছুটে যেতেন হাত বাড়িয়ে ভীষণ অনুরাগে
দাবি নিয়ে ছুটে যেতেন মন্ত্রী এলে কোনো
ব্রতচারী ছিলেন তিনি হন নি কভু বুনো
ছাত্রাবস্থায় ভাবতে থাকেন স্বদেশ আছে বাঁধা
পাকিস্তানের কবল থেকে
মুক্ত করতে দেশ
বুক ফুলিয়ে দাবিগুলো
করতে হবে পেশ
কুনোব্যাঙের মতো বেঁচে থাকতে আর নয় কাঁদা
ছাত্র থেকে যুবা হন মিছিলের থেকে সামনে
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাংতে জীবন আছে বাজি
সভায় সমাবেশে যেতে রণসাজে সাজি
পাকিস্তানি শাসক যত খুশি রক্তে দাম নে
স্বদেশপ্রেমে মগ্ন থেকে
জীবন সংসার বায়ে রেখে
অনেক বড় নেতা হয়ে দিলেন দফা ছয়
বঙ্গবন্ধু হলেন তিনি
বাংলাদেশের খাঁটি গিনি
সত্তর সালের ভোটে পাকিস্তানের পরাজয়
টুঙ্গিপাড়ার বৃক্ষলতা নদীর স্রোতধারা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর
অকাল তিরোধানে
আগষ্ট মাসে স্বদেশ ব্যাপি
শোকের পর্দা টানে
বলবে আরো কথা করো না তোমরা তাড়া।
Facebook Comments Sync