বিনয় মানুষকে উঁচু করে/ আফরোজা পারভীন

q

মাত্র কয়েকজন ছাত্র পিটিয়ে মেরেছে তোফাজ্জলকে। একে বলা হচ্ছে মব জাস্টিস! মেরে ফেলা মানে হত্যা করা বা খুন-এর সাথে জাস্টিসের সম্পর্ক কোথায়? এটা তো সাদা চোখে কিলিং। জনতাকে এই বিচারের ক্ষমতা কে দিয়েছে? জনতা কী আইন না আদালত? এখানে জনতা মানে তো কয়েকজন ছাত্র যারা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেছিল। রেগে গিয়ে বা ভুল বুঝে যদি হত্যা করে তাহলে টাকার প্রশ্ন আসে না। টাকা চাওয়া মানেই মতলববাজ। এমন কিন্তু আরও হতে পারে। এটা টাকা আদায়ের সহজ পথ। দরিদ্র, মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলের টাকা ছিল না, অনেকের আছে।  জীবন বাঁচানোর জন্য তারা টাকা দিয়ে দেবে। কয়েকজন ধরা পড়েছে বলেই যে হলগুলো একেবারে পবিত্র, খুনিশূন্য আর নিরাপদ হয়ে গেছে তাতো নয়, খুনিদের ভাই ব্রাদাররা তো রয়ে গেছে। 

তোফাজ্জলের মৃত্যু ভুলতে পারছি না। যেমন অনেকদিন ভুলতে পারিনি আবরারের মৃত্যু, তাসলিমার মৃত্যু, বিশ্বজিৎ- এর মৃত্যু।  বাবা-মা অনেক কষ্ট করে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠান। তারা ভাবেন, ছেলেটি মানুষের মতো মানুষ হয়ে ফিরবে। ওই ছেলে যে লাশ হয়ে ফিরবে তা কখনই ভাবেন না।  ছেলে রাজনীতি করুক, নেতা গোতা হোক এমনটাও অধিকাংশ বাপ মা চান না। তাদের চাওয়া সামান্য। পাশ করে একটা ভাল চাকরি আর সংসারের হাল ধরা। বৃদ্ধ পিতাকে খানিকটা বিশ্রাম দেয়া। ভাইবোনদের ভার নেয়া। মধ্যবিত্ত বাঙালি এটুকুই চায়। 

ষাটের দশকে মেধাবী ছাত্ররা রাজনীতি করত। তাদের মধ্যে সম্প্রীতি ছিল। ভিন্ন দল করলেও মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল না। একসাথে বসে চা খেত, গল্প করত, এক বিছানায় গড়াতে তাদের সমস্যা ছিল না। তারা পকেটের পয়সা খরচ করে রাজনীতি করত। দিন বদলে গেছে। এখন রাজনীতি এক ধরণের ব্যবসা। রাজনীতি করলে একজন ছাত্রের গাড়ি বাড়ি করতে এক বছরও  লাগে না। তাই তারা সহজে পাশ করে না। বছরের পর বছর ছাত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যায় আর রাজনীতির কলকাঠি নাড়ে। 

মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহিদ প্রাণ দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে এক শ্রেণির মানুষ স্বাধীন দেশ চায়নি। তারা বিভিন্নভাবে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর চিনিয়ে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে  দিয়েছে। বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। পাকিস্তানিদের নারী উপঢৌকনও দিয়েছে। এই স্বাধীনতা বিরোধীরা সম্ভবত ভাবেনি, একটি প্রশিক্ষত বাহিনী এত সহজে , এত অল্প সময়ে মালকোচা মারা, লাঠি হাতে বাঙালির কাছে হেরে যাবে। কাজেই স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পর তারা খানিকটা নাজুক অবস্থায় পড়ে। তবে দ্রুতই  দল বদল করে সরকারী দলের সাথে মিশে যায়। আর এদেশে তো অর্থলোভী সুবিধাবাদি লোক চিরদিনই ছিল, আজও আছে। তারা ওদের আত্মীকরণ করে নেয় নানান কিছুর বিনিময়ে। এদের এক বিরাট অংশ ঘাপটি মেরে বিভিন্ন দলের সাথে ছিল। এখন একে একে তারা আত্মপ্রকাশ করছে। স্বমূর্তিতে স্বপরিচয়ে বের হয়ে আসছে। দেশ কী বদলে গেছে! যে ছাত্ররা জীবন দিলো, যারা জীবন পণ করে সরকারের পতন ঘটালো, যারা বৈষম্যহীন সমাজ চায় বলে জানি, সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, এই বিষয়গুলির মধ্যে ওই ছেলেগুলো এলো কী করে! দেশের অনেক মানুষ কিন্তু ভীত। ভীত আমিও। এখন ওরা একে একে বেরুচ্ছে। ওদেরই যেন জয়জয়াকার। ওরাই যেন চারদিকে। হঠাৎ করে কেন এমন হল! আমরা বৈষম্য চাই না, সংস্কার চাই, দেশের উন্নয়ন চাই কিন্তু তাই বলে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন চাই না। আমার  মনে হয়, দু’চারজন বাদে দল মত নির্বিশেষে  কেউই তা চায় না।

দু’একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে হতাশ হলাম। তিরিশ লক্ষ শহিদ, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম কেউ উচ্চারণ করে না।  সে যেন এক বিস্মৃত অধ্যায়! এখন শহিদ বলতে জুলাই- আগস্টের শহিদদেরই বোঝানো হয়। তাতে আমার আপত্তি নেই, তারা অবশ্যই শহিদ, হাজারবার শহিদ। কিন্তু একাত্তরের শহিদরা তাদের অগ্রজ। তাদের অর্জন করা  দেশের মাটিতে  দাঁড়িয়ে জুলাই-এর অভ্যুত্থান করেছে ছাত্র-জনতা। এ কথা ভুললে চলবে না। 

আমরা অবাধ দুর্নীতিমুক্ত ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সমতাভিত্তিক দেশ চাই। যে দেশে সবার নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার থাকবে। আইনের শাসন থাকবে। কিন্তু চাপিয়ে দেবার কোন ব্যাপার থাকবে না। কে কী ভাবে চলবে, কে কী পরবে, গান গাইবে , নাকি নাচবে নাকি সাঁতার কাটবে সবই হবে তার ইচ্ছেয়। কেউ কাওয়ালি গাইতে চাইলে গাইবে, সিরাত মাহফিল হলে হবে, তা বলে রবীন্দ্রসঙ্গীত বা শ্যামাসঙ্গীত গাওয়াতে বাধা দেয়া যাবে না।

একটা গণতান্ত্রিক দেশে সবার অংশিদারিত্ব থাকবে। মানুষ যেন সগর্বে বলতে পারে, এটা আমার দেশ। মানুষের মনে যেন এই ভাবনা না থাকে, আমি গরিব আমি কে? দেশের ভাল মন্দে আমার কী আসে যায়! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক দেশ হলেও আমরা যথার্থ গণতন্ত্র কায়েম করতে পারিনি। দেশের একজন সাধারণ মানুষের জনপ্রতিনিধিদের কাছাকাছি যাবার কোনই সুযোগ  ছিল না। নিজের অভাব অভিযোগ প্রতিকার চাওয়ার জন্য, জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হতে তাদের তৃতীয় ব্যক্তির সাহায্য নিতে হতো। আর তৃতীয় ব্যক্তি নিশ্চয়ই তাদের শুধু হাতে সাহায্য করত না। এতো গেল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথা। এমপি মন্ত্রীর কাছাকাছি যাওয়া  তো ছিল রীতিমতো অসাধ্য। একটা সময় ছিল যে কেউ সে  যে দলেরই হোক না কেন, কথা বলার জন্য এমপি মন্ত্রীদের কাছে যেতে পারত। গত কয়েক বছরে সে অবস্থা আমূল বদলে গেছে।  বাড়িতেও তাদের পাওয়া যায় না, অফিসেও তারা আসতেন ইচ্ছেমতো। শুনেছি কেউ কেউ রাতে অফিস করতেন। ফলে পুরো মিনিস্ট্রিকে রাতে অফিস করতে হত। এটা কেমন নির্যাতন! আবার কারো কারো দর্শন মিললেও একসাথে আট দশজন করে ঢুকাতেন। কাজেই কথা বলার পরিবেশ থাকত না। মানুষ নিশ্চয়ই তার ব্যক্তিগত কথা অন্যদের সামনে বলবে না। অধিকাংশ সময় তারা ব্যস্ত থাকতেন ভিআইপি গেস্টদের নিয়ে। আবার এমনও আছে, দেখা করার জন্য সময় দিলেন, আপনি ঢাকা শহরের জ্যাম ঠেলে ঘেমে নেয়ে গেলেন কিন্তু তিনি দেখা দিলেন না। বলে পাঠালেন, আজ না, অন্যদিন। এরা নাকি আবার জনপ্রতিনিধি! এ অভ্যাস অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরও আছে। তাদের মধ্যে লেখক বুদ্ধিজীবীও আছেন। 

যার কথার দাম নেই, তার কিচ্ছু নেই। যে অঙ্গিকার রাখে না তাকে ভাল মানুষ বলা যায় না। মন্ত্রী এমপিদের অবস্থা যখন এমন প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা  বোঝাই যায়! তার চারদিকে যারা ছিলেন তারা একদমই চাইতেন না তার সাথে কেউ দেখা করুক। দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে রেখেছিলেন চারপাশে। সে দেয়াল ভেদ করে যাওয়া অসম্ভব। আমাকে অনেকে বলেছেন, তুমি শহিদ পরিবারের মেয়ে, বাবা ভাষাসৈনিক, বাবা বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করেছেন তুমি তো চাইলেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারো। যাও না কেন? আমি মনে মনে হেসেছি। সত্য কথাটা বললে ওরা বিশ্বাস করবে না, তাই বলিনি। ওনার চারপাশে যারা আছে তারা ভুলেও আমার নামটা প্রধানমন্ত্রীকে বলবে না। আর না বললে উনি জানবেন কী করে! এই যে প্রায় দু’বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হলো, কত সংকলন বের হলো, ইংরেজিতে বাংলায়, লেখা দিয়েছিলাম। আমার একটা লেখা কোনদিন কোন সংকলনে প্রকাশিত হয়নি। ধরে নিয়েছি, আমি লিখতে পারি না। কিন্তু যাদের লেখা ছাপা হয়েছে তারা সবাই কী লিখতে পারেন? বছর বছর  সরকারের বিভিন্ন প্রজেক্টে বই কেনা হয়েছে। প্রকাশকরা বই জমা দিয়ে বড় আশা করে জানিয়েছে। অনুরোধ করেছে, আমি যেন একটু বলে দি। আমি কাকে বলব, আমার কথা শুনবে কে? আমার একটা বইও ক্রয় করা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা প্রোজেক্টে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বেবী মওদুদ আপা ছাড়া মাত্র দুজন নারী লেখকের বই কেনা হয়েছে। তাদের একজন সিনিয়র। তার বই যেতেই পারে। লক্ষ লক্ষ টাকার বই। শুনেছি বাছাই কমিটির সদস্যদের জানাশোনা হওয়া ছিল বড় যোগ্যতা। সে যোগ্যতা আমার  নেই। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর বই কেনা হয়। আমার কোন কোন বন্ধু সেখানে নানান কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নেন। বই জমা দিয়ে পাবলিশার অনুরোধ করলেন। কর্তাব্যক্তিকে চিনি। ফোন করে বললাম, একদিন  দেখা করতে চাই। বেশ ভাল রেসপন্স করলেন। বললেন ওনার প্রোগ্রাম দেখে নিজেই জানাবেন। জানালেন না। পরে বার দুয়েক ফোন করলাম, ধরলেন না।  আমাকে ফোন ধরার যোগ্যই মনে করলেন না। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর অনুষ্ঠান হয়। কোনদিন আমাকে কোন প্রবন্ধ পড়তে বা আলোচনা করতে ডাকা হয়নি। এর মধ্যে কেবলমাত্র গত বছর  লেখক মঞ্চ থেকে  ডাকা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হিসেবে, মূল মঞ্চে নয়। জীবনে এই একবারই। সব চেয়ে বড় কথা, জীবনে যাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না, দেশের জন্য যাদের কোন ত্যাগ নেই এমন অনেক মানুষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেও আমি পাইনি। ধরে নিয়েছি আমার কিছু ঘাটতি আছে। নইলে এত বছর প্রশাসনে কাজ করার পর আমার এ অবস্থা হবে কেন! সচিবালয়ের পিয়নও নাকি সচিবের মতো পাওয়ার দেখায়। আর আমি অচ্ছ্যুত হয়ে রইলাম। পরে বুঝেছি সবার চেয়ে আগে দরকার লিঁয়াজো, কানেকটিভিটি, হাস্যমুখ সেটা আমার নেই। আর এসব নিয়ে আমার কোন রাগ নেই, লেখার উপকরণ পেয়েছি। আত্মজীবনীতে লিখছি। শহিদ সেলিনা পারভিনের ছেলে সুমন জাহিদ অনেক চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার। আমিও তার হয়ে চেষ্টা করেছিলাম। হয়নি। পরে জাহিদ তো মারাই গেল! ও মারা যাবার আগে কী জেনে গেল, একজন নামকরা শহিদ সাংবাদিকের ছেলে হয়েও প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার অনুমতি নেই এই গণতান্ত্রিক দেশে! যারা প্রাক্তনের পাশে ছিলেন, সবরকম সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নিজের থেকে শুরু করে আত্মীয়- স্বজন কেউ বাদ নেই। কারো ছেলের বিদেশি অর্গানাইজেশনে চাকরি দরকার, কারো গার্মেন্টস বানানো দরকার, কারো বাসায় বসে থেকে সচিব পদমর্যাদায় চাকরি আর বেতন দরকার, কারো বার বার চুক্তি দরকার,  সব হয়ে গেছে।  প্রাক্তনের একবারও মনে হয়নি, একজনকে এত দেয়া ঠিক না। আরও তো মানুষ আছে। নেতা কর্মী আছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। বছরের পর বছর সংগঠনের জন্য কাজ করে গেছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন রাজপথে, মার খেয়েছেন, বিনিময়ে কিছুই পাননি। অথচ একটা সংগঠনের ওরা ভিত্তি, ওদের শ্রমের উপর সংগঠন দাঁড়িয়ে থাকে। আত্মীয়স্বজনের হয়েছে পোয়াবারো । যত নিয়েছেন যত পেয়েছেন, ততই গুণগান করেছেন।  দেশ চমৎকার চলছে, এমন দেশ আর কেউ চালাতে পারেনি, তিনি আয়রন লেডি, উনিশ কোটি মানুষকে তিনি ভাত খাওয়াচ্ছেন। দেশের উনিশ কোটি মানুষ কী কোন কাজ কাম করে না!  তারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর টাকার উপর বাঁচে! সরকার  আর তার মেশিনারিজ, তাদের বেতন ভাতা চলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। কিন্তু মানুষ তোষামুদি শুনতে ভালবাসে। তোষামুদি শুনতে শুনতে একটা পর্যায়ে অযৌক্তিক আজগুবি কথাও সত্যি মনে হয়। প্রশংসার একটা খারাপ দিক হচ্ছে, মানুষকে অহংকারি বানিয়ে ফেলে, পরম বিক্রমশালী মনে করে নিজেকে মানুষ। মনে করে আমি এক এবং অদ্বিতীয় । আমার কোন লয় নেই, ক্ষয় নেই। এক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যখন মাটিতে বসে বেঞ্চিতে বসা জনগণের সাথে কথা বলেন, তখন তিনি  অনেক উঁচুতে উঠে যান। তার গাড়ি যখন ট্রাাফিক আটকায় আর দশটা সাধারণ মানুষের গাড়ির মতো তখনও তিনি অনেক উঁচুতে উঠে যান। মানুষ বড় হয় তার আচরণে, ব্যক্তিত্বে, মহানুভবতায় বিনয়ে। দুঃখজনক হলেও সত্য পৃথিবী থেকে বিনয়ী মানুষ আস্তে আস্তে একেবারেই কমে যাচ্ছে। এক চরম স্বার্থান্বেষী পৃথিবীতে  প্রবেশ করেছি আমরা! তাই তোফাজ্জল বা শামীমকে পিটিয়ে মারতে আমরা এক মুহূর্ত ভাবি না। আমাদের হাত কাঁপে না। এর থেকে পরিত্রাণ কীভাবে হতে পারে সমাজবিজ্ঞানী আর মনোবজ্ঞিানীরা ভেবে দেখতে পারেন। 

 

লেখক: কথাশিল্পী, গবেষক