নদী অথবা চাঁদ / আমিনুল ইসলাম

নদী অথবা চাঁদ

নদী অথবা চাঁদ

নদী অথবা চাঁদ / আমিনুল ইসলাম

 

নতুন শতাব্দীর অন্তরে কালো

ধোঁয়া এবং

মৌসুমের মরুকরণ দেখে

 তোমাকে নদী হতে বলেছিলাম;

 

 তুমি শ্রাবণ-ঢেউয়ের ভাঁজ দেখালে

আমার বিমুগ্ধ অস্তিত্বে

সাতপুরুষের সাঁতারের পোশাক

উঠেছিল;

 অথচ গণিতের প্ররোচনায় সহসাই

 চাঁদ হয়ে গেছো! হায় চাঁদ !

ফলে সাব-সাহারান রাষ্ট্রপতির

মতো

যাবতীয় অসম শর্ত মেনে নিয়ে

পৃথিবীর কাছ থেকে তার

 সমস্ত অভিকর্ষের ভান্ডার ধার

নিয়ে এসেছি।

 জোছনাভুক পাখিদের চোখ ভারী

হয়ে এলে

তুঙ্গীয় আবেগের উচ্ছলতায়

 মাতাল হয়ে উঠবে সাগর;

তখন তোমাকে নামিয়ে আনবো

রমনার নির্জন বটমূলে অথবা

রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের নমিত চত্বরে।

 সেখানে বসে জোছনাচর্চিত অঙ্গের

 পরতে পরতে

এঁকে দেবো মৃন্ময় চুম্বনের দাগ-

এক দুই তিন!

 তুমি হয়ে উঠবে সত্যিকারের চাঁদ।

 তারপর ডুরিছেঁড়া ঘুড়ির মতন

 ছেড়ে দেবো

অহংকৃত আকাশের অধরায়:

 তুমি ওড়ো হে আমার স্বেচ্ছাচারী

 চাঁদ !

 

 তোমাকে ঘিরে শারদীয় মেঘের

 বিস্ময় রচিত হলে,

 আমি আমার মতোই বসে থাকবো

উঠোনে;

সমুদ্রচারী হাওয়ায় হয়তো ভেসে

আসবে

কুয়াশা-ভেজা দাদরা তালের গান:

কলঙ্ক আর জোছনায় মেশা তুমি

 সুন্দর চাঁদ আনিলে জোয়ার ভাঙিলে আবার

সাগরকূলের বাঁধ…”

আমিনুল ইসলাম
আমিনুল ইসলাম