বিখ্যাতদের মজার গল্প – রক্তবীজ ডেস্ক
মুখের মতো জুতা
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং দীনবন্ধু মিত্র ছিলেন দারুণ বন্ধু। দীনবন্ধু ডাক বিভাগে কাজ করতেন। আর সে সুবাদে তাকে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতে হতো বিভিন্ন অঞ্চলে।
একবার আসামে গিয়ে সেখান থেকে বঙ্কিম- এর জন্য কাপড়ের একজোড়া জুতো কিনে এনেছিলেন। লোক মারফত সে উপহার বঙ্কিমের কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে একটা চিরকুটে লিখে দিলেন- ‘জুতো কেমন হয়েছে জানিও।’
বঙ্কিম চিরকুটটি পড়ে হাসলেন। তারপর উত্তরে লিখে দিলেন- ‘ঠিক তোমার মুখের মতো!’
মৃত’র চিঠি
নোবেল বিজয়ী ইংরেজ লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিং যে পত্রিকাটির গ্রাহক ছিলেন সেখানে একবার ভুলবশত কিপলিং- এর মৃত্যুসংবাদ ছাপা হল। সংবাদটি পড়ে তৎক্ষণাৎ কিপলিং পত্রিকা সম্পাদককে চিঠি লিখলেন- ‘আপনার পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে আমার মৃত্যু হয়েছে। তাই দয়া করে আপনাদের গ্রাহক তালিকাটা থেকে আমার নামটি বাদ দিয়ে দিবেন!’
সাজিয়ে রাখা
বিখ্যাত লেখক জর্জ বার্নার্ড শ-র বাড়িতে বেড়াতে এসে এক মহিলা অবাক হয়ে বললেন,
– মিস্টার শ, আপনার ঘরে দেখছি একটাও ফুলদানি নেই। আমি ভেবেছিলাম, আপনি এত বড় একজন লেখক; আপনি নিশ্চয়ই ফুল ভালবাসেন। তাই আপনার বাসার ফুলদানিতে বাগানের তাজা ও সুন্দর ফুল শোভা পাবে।
প্রত্যুত্তরে শ সঙ্গে সঙ্গেই বললেন,
– ম্যাডাম, আমি বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরকেও ভালবাসি। তার অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের মাথা কেটে নিয়ে এসে ঘরে সাজিয়ে রাখব।
কাঁদানো
দাঁতের ব্যথায় অস্থির হয়ে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ডেন্টিষ্টের কাছে গেলেন। ডেন্টিষ্ট দাঁত দেখে বললেন,
– তোমার লেখা পড়ে আমার বৌ কেঁদে ফেলে। এবার দেখ আমি তোমাকে কীভাবে কাঁদাই!
ভূমিকা
জর্জ বার্নার্ড শ একবার এক প্রবন্ধে লিখলেন, ‘বাড়ি হল বালিকাদের জেলখানা আর নারীদের কারখানা’।
এক রসিক পাঠক লেখাটি পড়ে প্রশ্ন করলেন,
– তাহলে একটি বাড়িতে পুরুষের ভূমিকা কী?
বার্নার্ড শ উত্তর দিলেন,
– একই সঙ্গে একজন জেলার আর কারখানার মালিক।
Facebook Comments Sync