বলিউড অভিনেত্রীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু / রক্তবীজ ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু

বলিউড অভিনেত্রীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু

বলিউড অভিনেত্রীদের স্বাভাবিক মৃত্যু / রক্তবীজ ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রীদের ব্যাপারে কৌতুহল  হাজারো ভক্তের । তাদের এক পলক দেখার জন্য ব্যাকুল থাকেন ভক্তরা। সেই প্রিয় অভিনেত্রীর যদি অস্বাভাবিক  মৃত্যু হয় তাহলে মেনে নেয়া কঠিন। বলিউডের বেশ কিছু নায়িকার অস্বাভাবিত মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যু রহস্য আজও রহস্যাবৃত।  তেমন কয়েকজনকে নিয়ে আজকের এই লেখা: 

১. মধুবালা 

মধুবালা পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান মাত্র ৩৬ বছর বয়সে। তিনি কি আসলেই চলে যান না যেতে বাধ্য করা হয় সেটা অজানা। ১৯৬৯ সালে মৃত্যু হয় বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী মধুবালার। বলা হয়েছে , হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। আসল সত্য আজও অজানা।  জীবনের শেষ সময়ে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েছিলেন তিনি । দিলীপ কুমারের সাথে সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। আরও আশ্চর্য  মৃত্যুর পরে যে কবরে তাকে শায়িত করা হয়েছিল সেখান  থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।

২. মীনা কুমারী

মীনার জীবনের সেরা ছবি ‘পাকিজা’ মুক্তি পাবার মাত্র  তিন সপ্তাহ পরে মৃত্যু হয় মীনা কুমারীর। ইনিও মারা যান মাত্র ৩৯ বছর বয়সে।  শোনাযায় লিভার  সিরোসিসে  আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।  প্রচুর মদ খেতেন। লিভারে তার প্রভাব পড়ে। সে কারণে এই অসুস্থতা আর অসুস্থতা থেকে মৃত্যু।

৩. দিব্যা ভারতী

১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল মুম্বাইয়ের নিজের ফ্ল্যাট থেকে নিচে পড়ে যান দিব্যা ভারতী। মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার। তিনি তখন প্রতিশ্রুতিশীল একজন উঠতি তারকা। তবে তার মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দ্বিমত আছে। তার  মৃ্ত্যু  কি নিছক   দুর্ঘটনা নাকি তাকে পরিকল্পনা করে খুন  করা হয়েছে  তা আজও জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন, অতিরিক্ত মদ পান করে বেসামাল হয়ে ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু দিব্যার বাবা মা দাবি করেছিলেন  খুন করা হয়েছিল তাদের মেয়েকে

৪. জিয়া খান

জিয়া খান চলচ্চিত্রে  আসেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সিনেমার মাধ্যমেবেশ কয়েকটি বলিউড সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে তার মৃত্যু হয় । একটি সুইসাইড নোট  পায় পুলিশ। সেই নোটের ভিত্তিতে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। জিয়ার মা অভিযোগ করেন, খুন করা হয়েছে তার কন্যাকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত জানা যায়নি, আসলেই খুন নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন এই নায়িকা।

৫. পারভিন ববি

বলিউডের একসময়ের সবচেয়ে আবেদনময়ী অভিনেত্রীদের একজন তিনি। ১৯৭০ ও ১৯৮০’র দশকে বেশকিছু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছিলেন। বলিউডের একাধিক অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু কারও সঙ্গেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। হতাশায় ভুগছিলেন।  একপর্যায়ে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেন। ডায়াবেটিসের কারণে তার পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়েছিল। হাঁটতে পারতেন না। মৃত্যুর তিনদিন পর ২০০৫ সালে ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল তা আজও অজানা। আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তার, সে নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। হতাশার কারণে অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে মনে করেন অনেকে।

৬. প্রত্যুষা ব্যানার্জি 

জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘বালিকা বধূ’র অভিনেত্রী প্রত্যুষা ব্যানার্জি নিজের বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। প্রেমিক রাহুল রাজ সিংয়ের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি শুধু নয় অন্য মেয়ের সাথে রাহুলের সম্পর্কের বিষয়টিকে আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে ধরে নেয় পুলিশ। তবে  তার  বন্ধুবান্ধবদের অনেকের ও মা-বাবার দাবি, প্রত্যুষা আত্মহত্যা করেননি।  রাহুল তাকে খুন করেছে। যদিও ময়নাতদন্তে জানা যায় , দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। এতে আত্মহত্যার ইঙ্গিতই মিলেছে। তবে প্রত্যুষার আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে প্রেমিক রাহুলকেই দায়ী করা হয়। মৃত্যুর আগে সন্তানসম্ভবা ছিলেন প্রত্যুষা।  তার মৃত্যু রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।

৭. সিল্ক স্মিতা

তামিল ছবির মাধ্যমে অভিনয় শুরু সিল্ক স্মিতার। সিনেমায় আসার আগে তার নাম ছিল বিজয়া লক্ষী। স্বল্পবসনে যৌন আবেদনময়ী চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান সিল্ক স্মিতা। ভারতীয় সিনেমায় আইটেম গানের শুরু তার হাত ধরেই। ১৭ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৪৫০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কান্নাডা, হিন্দি ভাষার ছবিতে অভিনয় করেন সিল্ক। আর্থিক সঙ্কট, প্রেমে ব্যর্থতা, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন এই নায়িকা। ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। পরে তার জীবনী নিয়ে নির্মিত হয় ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমাটি, যাতে সিল্কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান।