ধাওয়া ৩ / শাহনাজ শাহীন

ধাওয়া-7,8

ধাওয়া-5

ধাওয়া ৩ / শাহনাজ শাহীন

 

প্রথম দিনই মেঘকে দেখে আমি অভিভূত হয়েছিলাম । এটা ছিল তার চোখ । মনে হয়েছিল কি এক গভীর ঘোর সেই চোখে আছে । তাদের পরিবার সবেমাত্র এই শহরে এসেছে । আর আমি গিয়েছিলাম তাদের জিনিসপত্র নামাতে সাহায্য করতে । পুরো সময়টি ছিল দুই মিনিটের মতো যখন আমি ট্রাকে ছিলাম ।

এবং মেঘের বাবা তাকে কায়দা করে মাকে সাহায্য করার কথা বলে বাহানা করে মেঘকে সরিয়ে নেয় ।

আমি দেখেছি মেঘ আসলে যেতে চায়নি ।

সুতরাং আমি তার পিছন পিছন ধাওয়া করেছি, যদি আমরা কিছুটা সময় একসাথে খেলতে পারি,

সে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ার আগেই ।তারপর যা হলো, সে আমার হাত ধরে এবং আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে । আমার হৃদপিন্ড থেমে যায়।  সেই কি হবে আমার খেলার সাথী? আমার প্রথম ভালোলাগা? আর তখনই তার মা বের হয়ে এলেন । মেঘ তার মাকে দেখে ভীষণ রকমের বিব্রত হয়। তার গাল লজ্জায় লাল হয়ে যায় ।

সে রাতে আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে তার কথা অনেক ভেবেছি । হয়তো আমরা আরো কিছুক্ষণ এক সাথে থাকতে পারতাম যদি না মেঘের মা আসত ।

আমি বুঝতে পেরেছিলাম, তার ইচ্ছে ছিল আমার সাথে খেলার । কিন্তু সে তার মাকে দেখাতে লজ্জা পাওয়ার ঢং করে । অভিনয় করে। জীবন সংসারের ছোট থেকে বড় সকলেই অভিনয় করে। এ অভিনয়ে কেউ নিখুঁত। কেউ বা আনাড়ি।

মা বলতেন, ছেলেরা এমনটাই করে থাকে ।  বিশেষ করে মায়েদের সামনে । আমার বাবাও নাকি এমন ছিলেন । দাদির সামনে মাকে ধমকাতেন । যেন মনে হতো বাবা মাকে অপছন্দ করেন । পরে মাকে বলতেন , আরে এটাতো ঢং করেছি । দেখছ না মা কেমন খুশী হলেন? দাদিকে খুশি করতে এমন আচরণ করতেন বাবা ।

আসলে ওটা ছিল মিথ্যে । সুতরাং আমিও গায়ে পড়ে মেঘের সাথে ভাব জমাতাম। আমি তাকে সাহায্য করতে চাইতাম । তার লজ্জা ভাঙ্গুক । আমার সাথে সহজ হোক । এবং প্রথম যখন স্কুলে তাকে আসতে দেখলাম । আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম । যাতে তার লজ্জা ভেঙ্গে যায় ।

ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠতেই আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেলাম । আর ঐ সময়টাতে আমাদের বন্ধু সারা মেঘের সাথে ভাব জমায় । সারা তেমন আহামরি কিছু নয়, শুধুমাত্র ধবধবে গায়ের ফর্সা রংটা ছাড়া । আড্ডাবাজ, মানুষের পিছনে বদনাম করা । কেশবতি পদার্থ গোছের মেয়ে ।

এই সারা, মেঘের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আমার প্রথম ভালোলাগা মানুষের সাথে । আমি সারাকে পাত্তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । মেঘকে আমি খুব ভালো করে চিনি । অবশেষে সারা’র সাথে অগভীর সম্পর্ক সংযোগ অবসান হবে । এক সপ্তাহের বেশি লাগনি তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হতে ।

এখন মেঘ, সারার অশুভ খপ্পরের আওতামুক্ত । সে আমার সাথে ভালো আচরণ করতে শুরু করেছে । সে শ্রেণিকক্ষে আমাকে দেখে বললো,

–কি খবর সুহাসিনী ?

— ভালো । তোমার কি খবর?

মেঘ আমার সামনের সিটে বসে আছে । তাকে দেখে মনে হচ্ছে , সে লজ্জা পাচ্ছে । লজ্জায় তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। এমন কি তার চুলও । তার চুল থেকে তরমুজের সুঘ্রাণ আসছিল । আমি পাচ্ছিলাম । এদিক ওদিক তাকিয়ে কথা বলার ভান করে তার চুলের কাছাকাছি এলাম । আমার মনে হচ্ছিল, একটা পুরো বছর কাটিয়ে দেয়া যায় গোপনে তরমুজের এই গন্ধ শুঁকে । আমি অবাক হবো না, যদি তার আদরের বউ হই বড় হয়ে । আমার ভাবতেই কী যে ভালো লাগছিল তখন।

সপ্তম শ্রেণিতে ভালোই কেটছে । এখনো বড় ধরনের তেমন কিছু ঘটেনি । তবে বাড়িতে ঘটল । আমার দাদা, আমাদের বাড়িতে এলেন । এখন থেকে তিনি এখানেই থাকবেন । মা বললেন, তিনি এখানে থাকতে রাজি হয়েছেন কারণ গ্রামে একা একা সব সময় দাদির কথা মনে আসে তার । দাদা তেমন কথাবার্তা বলেন না আমাদের সাথে । চুপচাপ বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকেন ।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দাদা আমার সাথে কথাই বলতে চান না । আর এটা চলেছিল সুহাসিনীর মুরগির খামার প্রকল্প খবরের কাগজে আসার আগ পর্যন্ত ।

একদিন আমি কোনো এক কারণে দাদাজানের রুমে ঢুকলাম । দাদাজান তখন চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন । আমাকে দেখে খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে হাসলেন । দাদাজানের হাসি আমাকে মুগ্ধ করল । সাধারণত দাদার সাথে নাতির সম্পর্ক হয় হাসি তামাশার । আনন্দে সময় কাটানোর । কিন্তু আমার দাদাজান গুরুগম্ভীর মানুষ । আপন মনে বসে থাকেন । নিজের মতো করে সময় কাটান ।

দাদাজান আমাকে বললেন,

” মেঘ তোমার সাথে একটু কথা বলতে চায়। তুমি কি বসবে খানিকক্ষণ?”

হতভম্ব হলাম এই সাধারণ কথা শুনার পর । বোকার মতো আমি বলে বসলাম,

“কি ? “

” বস । “

আমি বসলাম ইতস্তত করে । আমার হাতের পানির বোতলটি পাশে রাখলাম । দাদাজান আমার দিকে মিষ্টি হেসে বললেন,

“সুহাসিনী তোমার বান্ধবী, তার সস্পর্কে তুমি কতটুকু জানো । “

আমি এবার সত্যি সত্যিই বেকায়দায় পড়ে গেলাম । শেষ পর্যন্ত দাদাজান জানল । আমি থতমত খেয়ে বললাম

“দাদাজান সুহাসিনী সে তো আমার বান্ধবী নয়। “

“তাই নাকি, তাহলে কি? “

“দাদাজান আপনি সুহাসিনীর কথা কেনো জানতে চাইছেন? “

দাদাজান খবরের কাগজটি আমার দিকে এগিয়ে দিলেন । আমি খবরের কাগজটি হাতে নিলাম ।

প্রথম পৃষ্ঠায় সুহাসিনীর খবর । সে গাছের উপরে উঠে বসে আছে । খবরের হেডলাইন ছিল

” চোদ্দ বছরের কিশোরীর গাছ নিধনের বিপক্ষে প্রতিবাদ “

খবরের কাগজের এই খবরে সুহাসিনী নবম শ্রেণির বেগম রোকেয়া হয়ে যায়নি । না , সে প্রথম পৃষ্ঠায় খবরে এসেছে কারণ সে নিমগাছ থেকে নামতে চায়নি ।সুহাসিনী এবং তার বদ নিম গাছ । সে সবসময় মনে করত বিশ্ব সংসারে, আমাদের বাড়ির কোণায় এই নিম গাছটি হচ্ছে আল্লাহর দান ।

আমি সাইকেল চালাতে বিকেলে বের হয়েছি । সুহাসিনী ও তার দুই ভাই নিমগাছের ডালে বসে আছে । আমাকে দেখে সে ডাক দিল

” মেঘ, গাছে উঠতে চাও আমাদের সাথে? “

সুহাসিনী গাছের ডগায়। সাথে তার বড় দুই ভাই।

তার অতি প্রিয় নিমগাছ। তার প্রাণ। কত ভালবাসা এই গাছের সাথে।

” না আজ না । “

“মেঘ আসো । গাছে চড়ায় দারুণ মজা । এখান থেকে সব কিছু দেখা যায় । বিশ্বভ্রমণ করার মত অভিজ্ঞতা হবে । আস বিশ্বভ্রমণ করি এক সাথে “

” আমি এখন গাছে উঠতে পারব না । বাবার সাথে কাজ আছে ।”

মিথ্যে বলা ছাড়া উপায় ছিলো না । সুহাসিনী ও তার ভাইদের সাথে গাছে উঠে আমি সেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে ফিরে যেতে চাইনি ।

” মেঘ আর সুহাসিনী

তাঁরা করে কানাকানি

আমরা তা সকলে জানি “

সিমের বিচির মতো বাকি জীবনভর খেয়ে নাওনা কেনো । সুহাসিনী নবম শ্রেণিতে উঠেও দ্বিতীয় শ্রেণিতে আছে । তার কাজকর্ম সেরকমই । তার দুই ভাই হলো বেলুন । পাম দিয়ে ফুলিয়ে দিয়েছে ।

একদিন সকালে আমরা স্কুলে যেতে নিমগাছের নিচে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি । হঠাৎ সুহাসিনীর চিৎকার । উপরে তাকিয়ে দেখি সুহাসিনী স্কুলের পোশাক পরে নিমগাছ থেকে নামছে আর বলছে, এই স্কুল বাস এসে পড়েছে । এখন শারমিনদের বাসার সামনে থেমেছে । এইত আমাদের গলিতে ঢুকে গেছে । আমার সহপাঠী মৃদুল বললো, আরে এটাতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । রেডিওর মতো । আগাম জেনে গেলি । সুহাসিনী রেডিও । লাইভ রেডিও । বাসের খবর জানতে চাইলে সুহাসিনীর কথা মনে করবি । আমি বললাম , তার এই সব কান্ড কারখানা একদম ভালো লাগে না । বাস এসে গেছে । সুহাসিনী গাছ থেকে নেমে আসল । আমার পাশে এসে দাঁড়াল । তার বকবক শুরু হয়ে গেছে । সে বলছিল ,

” দিনের আলোয় গাছটিকে সুনির্দিষ্টভাবে কতো সুন্দর লাগছে । তূমি কি মনে কর ? আমি কি ঠিক বলেছি ,তাই না ?

” যদি তুমি এই সুন্দরকে অবিশ্বাস্য অসুন্দর বুঝাও তাহলে আমি বলব হাঁ, গাছটি সুন্দরের পরিবর্তে ভীষণ বিশ্রী লাগছে দিনের আলোয়। “

সুহাসিনী আমার কথায় জ্বলে ওঠে । সে বাসের দরজায় পা রেখে পিছনে আমার দিকে বার দুয়েক ফিরে তাকায় । তারপর চোখমুখ কুঁচকে বললো,

” তুমি দৃশ্যত একটি অহংকারী ছেলে । তুমার জন্য দুঃখ হচ্ছে আমার । “

আমি অহংকারী , অহংকারী । এই মেয়েটি আমাকে তাই বললো । হুম, আমাদের প্রতিবেশী যে এক জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করে? তাঁর কথায় আমার কিছুই যায় আসে না। সুহাসিনীর বাবা ছবি আঁকছেন বাড়ির বাইরের উঠোনে বসে। কাঠের স্টেন্ডে রাখা বিশাল বড় এক ক্যানভাস। মাটিতে রাখা ছোট ছোট কোটায় রঙের তুলি । তিনি ছবি আঁকায় ধ্যানে মগ্ন । তাদের ঘরের জানালার পাশে গোলাপের গাছটি লতার মতো বেয়ে উপরের দিকে উঠেছে । অনেকটা জঙ্গল বাড়ির মতো । আমার বাবা এই দৃশ্য জানালা দিয়ে দেখছেন । এবং তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন ।

” ওহ, দেখ সে এখানে । একজন ট্রাকচালক, যে নিজেকে ভাবে চিত্রশিল্পী । বাস্তব জীবন কতটা বিচ্ছিরি তা তার ট্রাক দেখলেই বোঝা যায় । এর আবার ছবি আঁকার শখ হলো । গরিবের কিত্তি হাস্যকর। কথাগুলো এভাবেই বলছিল মেঘের বাবা। মেঘের মা তার স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ালেন । তিনি নরম সূরে বললেন, “ভালোই তো প্রাকৃতির সৌন্দর্য তিনি চিত্রপটে তুলে ধরছেন , তিনি তো ছবিগুলো প্রদর্শনীতে দিতে পারেন । মানুষ দেখে মূল্যায়ন করবেন সেগুলোরসৌন্দর্য । “

” প্রাকৃতিক সৌন্দর্য? শোন আমি যা বলছি পৃথিবীতে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আছে । আর এই লোকটি যে ছবি আঁকছেন, এটা হলো ছোট্ট একটা উঠানের ছবি । উঠানের ছবি কে কিনবে? এতে কি সৌন্দর্য আছে বল তুমি আমাকে? আমার এই লোকের স্ত্রীর জন্য কষ্ট হচ্ছে । মহিলা একটা দরিদ্র মানুষের বউ হয়েছে । “

” অন্যের স্ত্রীর জন্য তোমার দুঃখ প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই । নিজের কথা ভাব । ” সুহাসিনীদের উঠোনটি আমার বাবার কাছে ছিল বিরক্তিকর । কিন্তু যদি বিরক্তির কথা সুহাসিনীর গাছে উঠার সাথে তুলনা করি, তাহলে আমার সাথে বাবার উঠোনের বিরক্তি কিছুই না । প্রতিদিন সকালে আমাকে তার গাছ থেকে চিৎকার শুনতে হয় । গাছ থেকে ট্রাফিক সিগন্যাল । মৃদুল ঠিকই বলেছে রেডিও স্টেশন । আজব মেয়ে একটা । বান্দরের মতো গাছে উঠে থাকে । ‘ এই গাড়ি এসে পড়েছে । রাস্তার মোড়ে ঢুকল । ”

ঐতো শুরু হয়ে গেছে । এদেরকে কেনো তিন চাল্যি বলা হয় না? এই মেয়ে ও তাঁর দুই ভাইয়ের কার্যক্রম তো সেরকমই । মৃদুল বললো ,তাঁরা তিন জন কোথায়! পাঁচজন । কি ? মেঘ তাঁর সহপাঠীর কথা ঠিক বুঝতে পারল না । কিসের পাঁচ ? ” বেশ , সুহাসিনী, তার দুই ভাই রিপন ও শিপন । বাবা শওকত আর মা শেলী । পাঁচজন কে কি করে তিন চাল্লি বলবি। বলতে হবে পাঁচ চাল্লি । ” হা হা হা । তাছাড়া ওর দুই ভাই রিপন ও শিপন আমার একদম অপছন্দ । তাদের চাল্লি হওয়া উচিত নয় ।

#

এই মেয়ে শুনছ, গাছ থেকে নাইমা আস । না হলে থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ আনাব । ভালোয় ভালোয় নেমে আস। তূমি আমাদের চুক্তিবদ্ধ কাজ এগিয়ে নিতে

বাঁধা দিচ্ছ । যদি তুমি গাছ থেকে না নেমে আস, তাহলে আমরা তুমাকে গাছসহ কেটে ফেলব ।

সুহাসিনী গাছের ডগায় একটা ডাল জড়িয়ে ধরে বসে আছে । সে এই গাছ কিছুতেই কাটতে দিতে পারে না । এ গাছের সাথে তার বহুদিনের সম্পর্ক । সে উপায় না দেখে তার বন্ধুদের ডাকতে শুরু করল ।

“মেঘ , রবিন, মৃদুল তোমরা আস তাড়াতাড়ি । আমাকে সাহায্য কর । উনাদের বল এ গাছ কাটা যাবে না । যদি আমরা সবাই একত্রে থাকি, উনারা কিছুতেই গাছ কাটতে পারবে না । স্কুলের বাস চলে আসে ততক্ষণে । রবিন আর মৃদুল বাসে উঠে গেল । মেঘ বুঝে উঠতে পারে না কি করা উচিত তার এখন । সে কি স্কুলে না গিয়ে সুহাসিনীর সাথে গাছ রক্ষা অনশনে যোগ দিবে? সুহাসিনী প্রচণ্ড রকমের উত্তেজিত । এদিকে অপেক্ষারত লোকজন গাছ কাটতে বদ্ধপরিকর । মেঘ বূঝতে পারছে না এই জট পাকানো সমস্যার কিভাবে সমাধান হবে । মেঘ বাসে উঠার জন্য পা বাড়ায় । সুহাসিনী গাছের উপর থেকে চিৎকার করে বলছে ,

” মেঘ যেয়ো না দয়া করে। প্লিজ থাক আমার সাথে ।”

মেঘ ঘাড় ঘুরিয়ে একবার গাছের উপরের দিকে সুহাসিনীর দিকে তাকাল । তারপর সে স্কুল বাসে উঠে যায় । তার খারাপ লাগছে সুহাসিনীর জন্য । কিন্তু এই জটিল মূহূর্তে তার স্কুলের বাসে উঠা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না ।

শাহানাজ শাহীন
শাহানাজ শাহীন