দুটি কবিতা / দিলারা মেসবাহ

দিলারা মেসবাহ

দিলারা মেসবাহ

।।দূরাভাষ।।

গলে যাচ্ছে দুপুর, বিকেল দিলো ডুব —

সন্ধ্যা সাঁতার কাটে,যমুনা অথৈ!…

কি হবে হে- এমন নিথর নিঃসম্বল নিরবধি!

কবেকার দোয়াতের গর্ভে ঝর্ণা কলমের দীর্ঘশ্বাস।

আলস্য শিথানে উঠছে হাই — অচল ভায়োলিন। 

রাত নামে, টক ঢেকুরের ভুলে ভরা ব্যাকরণ।

ডায়রির পাতা নিধুয়া পাথার, বিধবা সফেদ। 

ভেংচি কাটে অদৃশ্য বিরাম চিহ্ন সমূহ–

মরা মাছের কানকো রক্ত ছিটায় কখনো? 

অতিপ্রাকৃত ঘটছে মাণ্যবর!…

একদিন বিরামচিহ্ন গুলো শরমিন্দা হতে পারে?

গুচ্ছ গুচ্ছ অক্ষর পারিজাত ফোটাবে বিধবা পাতায়!আর শ্রবণেন্দ্রিয় শুনবে দূরাগত ভায়োলিন। 

তোমাদের মিলন বিরহের অনুরূপ কোলাহল। 

থমকে দাঁড়াবে অনুতপ্ত দুপুর, বিকেলের দেমাগি 

কণে দেখা রোদ। সান্ধ্য উঠোনে ঝিঁঝিঁর বন্দিশ।

জোনাকের লন্ঠনগুলো -সুপ্ত স্নেহ ভালোবাসা। 

রৌশনচৌকি– মোম জোছনার মায়াখেলা! 

 

২.।। ও পাখি আমার।। 

ও পাখি ধূসর পালকে বিরহের রঙ।

আর বিপন্ন বিষাদের ছাপ। 

উড়ে যাবে আজ কোন দূরের নগর?

কসম খোদার — ডানার অতলে নাও আমার 

এ পর্যুদস্ত মন। ভষ্মের ধুলোমাটি

ও পাখি পরম! তোমার কুহকে মগ্ন মোহিনী এ মন।

প্রতি ভোরে জেগে উঠি ক্রন্দসী বেহালা।

তুমি তো আমার পাখি! সুরেলা অলীক সুর।

এইদিনে পাতাবনে,জারুলের সকরুণ সাধ আর

দ্বিধান্বিত পড়ে আছে বিপন্ন বাঁশিটি কার?

কসম খোদার। আমাকে নাও প্রিয় ডানার অতলে —

নাও পাখি, ভস্মময় এ পর্যুদস্ত  মন।।