জল মাখা জীবন (তিন)/ আফরোজা পারভীন 

আফরোজা পারভীন

আফরোজা পারভীন

জল মাখা জীবন (ধারাবাহিক উপন্যাস) 

 

 

ঘরের দাওয়ায় বসে আছে রমজান মায়মাল। মন  দিল বেশ খোশ তার।  স্ত্রী মারা যাবার পর থেকেই যেন চারদিকে উথলে   উঠছে। বউ মারা গেছে দুবছরও পেরোয়নি। এরি মাঝে খেতি জমি  বেড়েছে পঞ্চাশ কানি।  মাছের ব্যবসাও ফুলে ফেঁপে উঠছে। কে যেন বলেছিল ভাগ্যবানের বৌ মরে। কথাটা মিথ্যে না। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মাধ্যমে জলমহাল লিজ নিয়েছে। মানুষ দিযে মাছ ধরে। যা মজুরি  দিতে হয় তার দ্বিগুণ থেকে যায়। রমজান ভেবে দেখেছে টাকা না,  মগজটাই আসল। মগজ খেলাতে পারলে ঘরে টাকা আস সুড়সুড় করে। আজকাল  মাছ ধরতে নিজে যায় না রমজান। কেমন যেন মানি লোক মানি লোক হয়ে উঠেছে। তবে একবারে ছেড়েও দেয় না। পোষা লোককে বিশ্বাস কি! মাঝে মাঝে দেখাশুনা করার জন্য যায়। ছেলে শরীফকে সাথে নিতে চেয়েছিল, যায়নি। ভাব সাব যেন নবাবের ব্যাটা।  দুইবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে ফেল করল। অথচ  ভাব দেখে মনে হয় কতো বড় বিদ্বান। শহর ছেড়ে এসে গ্রামে মাস্তানি করছে। নাসির উদ্দিন বিড়ি ছেড়ে সিগারেট ধরেছে । ফুড়–ৎ ফুড়–ৎ করে টানছে। আর পোশাক আশাকের কি বাহার! দেখলেই মাথায় রক্ত চড়ে যায় রমজানের। ওরে শহরে রেখে পড়ালেখা করাতে কি কম টাকা খরচা হয়েছে তার। দশহাত মাটি খুঁড়লে কি একটা ফুটো পয়সা বেরোয়। তাও যদি বাড়িতে এসে বাপের সস্পত্তি একটু দেখাশুনা করত। আরে বাপু আখেরে তো সবই তোর হবে। তা ভাবখানা এমন, বাপ আছে ভাবনা কি। তার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে কাটাই  যতোদিন কাটানো যায়। খাচ্ছে  দাচ্ছে  আর ঘুরঘুর করছে কৈবর্ত পাড়ায়। কী আছে ওখানে কে জানে। আকারণে ঘুরঘুর করার ছেলে শরীফ  না। তারই তো রক্ত শরীফের গায়ে। শরীফের বয়সে সে শরীফের বাপ হয়ে গেছে। বৌ শরীফার বাপ ছিল ধনী মায়মাল। মেয়ের জন্য ভাল  ভাল ঘর থেকে  প্রস্তাব আসছিল। রমজানের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে তার বড় দায় পড়েছে। কিন্তু রমজানের নজর  শরিফার উপরে যতোটা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল শরীফার বাপের ধানি জমির উপর। ঘরে সুন্দরী বউ আর মাঠে জমি এইত একজন পুরুষের পরিচয়। কিন্তু রমজান যে ফকিরা বাপের ফকিরা পোলা।  বুদ্ধি  খেলিযে সম্পত্তি  বাড়াতে হলেও তো কিছু সস্পত্তির উপর ভিত রেখে তা করা চাই। রমজানের সেই ভিত শরীফার বাপের জমি। বুড়ো বাঁচবে না বেশিদিন। তাছাড়া শরীফা তার একমাত্র মেয়ে। টোপ ফেলে দেখেছিল শরীফার কাছে। বাঘিনীর মতো ফোঁস করে উঠেছিম শরীফা। তার আর উপায় কি। আপোসে কাজ না হলে বলপ্রয়োগ ছাড়া উপায় কী। একদিন পুকুরঘাট থেকে শরীফাকে তুলে এনেছিল রমজান। তিনরাত একনাগাড়ে  ওলোট পালট করার পর শরীফাকে বলেছিল, যা এবার বাপের কাছে ফিরে যা। শরীফা পা জড়িয়ে ধরে বলেছিল, আপনি বিয়ে না করলে আমার মরা ছাড়া গতি নেই। রমজান তো এইই  চেয়েছিল। শরীফা যে তার দুধ দেয়া গাই।বিযে হয়ে গেল। রমজান বউ নিয়ে উঠল শ্বশুরবাড়ি। আর বছর না ঘুরতেই শ্বশুর পরপারে যাবার পর সবই হল রমজানের সম্পত্তি। সেই সম্পত্তিতে মাথা খাটিয়ে রমজান আজ বিপুল বিত্তের মালিক । খোলা জলাশয় বন্ধ  জলাশয় সর্বত্রই মাছের রমরমা ব্যবসা তাঁর। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিতো আছেই। আর শুধু কি মাছ ধরা! জমি জিরেতের অভাব নেই।  গ্রামের মানুষ নিদানকালে  তার বাড়িতেই খাটে। জমি বন্ধক রেখে চড়া সুদে টাকা ধার নেয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সে জমির মালিক হয়ে যায় রমজান। খাওয়ার মানুষ অবশ্য নেই । বিধবা বোন আলতা এসে উঠেছে তার কাছে। সেই আগলে রেখেছে সংসারটাকে। কিন্তু  আলতাকে কতদিন আগলাতে পারবে রমজান কে জানে। আলতার যদি কপাল খারাপ হয় তার তো কিছু করার নেই। 

কামলা ছেলেটা হুক্কা ধরিয়ে গেছে। উড়ুক উড়ূক করে হুক্কায় টান দেয় রমজান। তেমন মৌতাত ওঠে না মনে, নেশা হয় না। বৌ শরীফা বড় সুন্দর হুক্কা সাজাতে পারত। তা সময় মতোই মরেছে বৌটা। হুক্কা যেমন তেমন সাজা হলেও খাওয়া চলে কিন্তু কাজ কামে সর্বদা নাক গলালে বড় অসুবিধা। সেটাই করতে শুরু  করেছিল শরীফা।   সুযোগ পেলেই নসিহত করতে শুরু করত। ‘আপনার তো অনেক আছে। একটা মাত্র পোলা আমাদের। মানুষের জমা জমি ঠকায়ে নিয়ে লাভ কী!  ছেড়ে দেন। ওতে মানুষের অভিশাপ লাগে। মানুষ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। দেখেন না পোলাটা আমাদের দিনদিন কেমন বেয়াড়া হচ্ছে। আল্লাহর দোহাই এসব ছাড়েন।’ মনে মনে জবর বিরক্ত হয়ে উঠেছিম রমজান। তখনই চলে গেল। গেল তো গেল আপদ গেল। এখন ভাল মন্দ  বলার কেউ নেই, নিশ্চিন্ত।   

গতরাতে নৌকায় গিয়েছিল রমজান।  বড়শি পেতেছিল কৈবর্ত পাড়ার রতন আর কার্তিক। বছর দুয়েক ধরে রমজানের নৌকায় কাজ করছে ওরা। গুণ বড়শি পেতেছিল হাওড়ের মধ্যে দুপাশে দুটো খুঁটি পেতে। লম্বা সুতোর ফাঁকে ছোট ছোট সুতো বেঁধে বড়শি ছাড়া হয়েছিল পানিতে হাজার খানেক। কদিন ধরে পাতছে । হাজার খানেক গজ লম্বা এ বড়শিতে মাছ পড়ছে মন্দ না। সকাল বেলা একধার থেকে যখন বদশি তুলতে থাকে, মন ভরে গিয়েছিল রমজানের। বোয়াল গজাল আর হরেক রকম মাছ উঠেছে বড়শিতে। নৌকার কোলে রাখা তিন চারটে ড্যাগ বোঝাই হয়ে গেছে। তবে বড়শি ফেলার সময় মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিম রমজানের। মাছের চার হিসেবে রাখা ব্যাঙ , কেঁচো, ছোট ইঁচা আর পুঁটি মাছগুলোর চেহারা বড় খারাপ। দেখেই যদি খেতে না ইচ্ছে না  করে মাছ মুখ দেবে কেন বড়শিতে। মানুষই পছন্দ  না হলে জিনিস ছুঁয়ে দেখে না। রেগে  উঠেছিল রমজান,

: এই রতনা বসে বসে কি করিস। সারাদিন খালি বিড়ি ফুঁকিস নাকি। মাছের চারগুলোর কি দশা। এ চারে  মাছ মুখও ছোয়াবে না। না তোরে ছাটাই করে দেব।

রতনের মুখ কালো হয়ে যায়।  

:কর্তা এই চারই মাছ পছন্দ  করে। তাছাড়া কর্তা আজকাল তাজা ব্যাঙ  তেমন পাওয়া যায়না। 

: ও সব তাহলি মরা ব্যাঙ পাওয়া যায়! আমারে পোলাপান পাইছিস না। দেখাশুনা করি না বলে যেমন ইচ্ছে  শুরু করেছিস।

গজগজ করতে থাকে রমজান। কার্তিককে যদিও বলা হল না সেও ভয়ে চুপসে গেল। রমজানের বাড়িতে কাজ করার দাম আলাদা। তাছাড়া সারা বছরতো নৌকায় কাজ থাকে না। তখন রমজানের বাড়িতে বাঁধা কামলার কাজ করে। পেটের ভাতের চিন্তা  করতে হয় না।  এখন যদি রমজান তাদের ছাড়িয়ে দেয় কি উপায় হবে। 

রাত শেষে মাছের চেহারা দেখে মন ভাল হয়ে উঠল রমজানের। আজকাল তাহলে ছেনা চটকা মরা ধরা জিনিসের দিকেই মাছের নজর। রমজানের দিকে তাকিয়ে মন বুঝে ফেলে রতন কার্তিক। তড়িঘড়ি মাছগুলো ছাড়িয়ে ড্যাগে  পোরে।

: কর্তা আজকে মাছের ভাল দাম পাবেন। কতো মাছ পড়েছে বড়শিতে। আজ কয়দিন ধরে বাজারে মাছের আকাল। দাম চড়ে গেছে।  আপনিই পয়া কর্তা। আপনি নৌকায় ওঠলেন আর ডবল মাছ পড়ল বড়শিতে।

মনে মনে খুশি হলেও  খেকিয়ে উঠল রমজান

: ওসব পাতানো কথা রাখ। এই কার্তিক অন্যদিন মাছ এতো কম পাস কেন। অর্দ্ধেক বুঝি হাত সাফাই করে বাড়িতে চালান করিস?

: না না কর্তা কি যে বলেন । আপনার মাছ বলে কথা। কার ঘাড়ে কয়টা মাথা। 

অতোটা সাহস ওদের হবে বলে বিশ্বাস হয় না রমজানের। তবে বলাতো যায় না। আজকাল কাউরে বিশ্বাস করা যায় না। তাইতো মাঝে মাঝে দেখাশুনা করা দরকার। কিন্তু  ছেলে শরীফকে দিয়ে সেটা হবার কোন উপায় নেই। 

মাছ বিক্রি করে ভাল পয়সা পেয়েছে রমজান। তাছাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লিজ নেয়া জলমহাল থেকে প্রচুর  পয়সা আসছে প্রতিদিন। রমজান আবার হুক্কায় মুখ রাখে। না, হুক্কা সাজাটাও শেখেনি এরা। হাঁক দেয় রমজান। কামলার বদলে সামনে এসে দাঁড়ায় শরীফ। পরনে চটকদার লুঙ্গি। গালে ফিনফিনে পাঞ্জাবি 

: আব্বা পাঁচশোটা টাকা দাও।

: কেন বাপ, এত টাকা দিয়ে কি করবা? সেদিন না পাঁচশো নিলে?

: অতো প্রশ্ন করোনাতো। আমার কিছু খরচা কি নেই?

: তোমার খরচাতো বিড়ি সিগারেট টানা আর ফূর্তি ফার্তি করা। শোন বাপ বড় ইচ্ছে ছিল তোমারে লেখাপড়া শিখাবো। করলে না। তা এখন অন্তত বাপের জমি জিরেতগুলো দেখ।

: চাচ্ছি পাঁচশ টাকা, দিলে দাও না দিলে না। অতো কথার সময় নেই।

: বাপের কথা শোনার সময় তোমার থাকবে কেন। তোমার সময়তো কৈবর্ত পাড়ায় ঘুরঘুর করার। ওখানে কী আছে বাপ?

: তাহলে তুমি দিবা না? আচ্ছা আমি চললাম।

দপদপিয়ে বেরিয়ে যায় শরীফ। বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে আলতা।

: যাসনে শরীফ দাঁড়া। কি ব্যাপার মিয়াভাই, ও অতো রাগ করিছে কেন?

শরীফ ফিরে আসে। 

:তোমার হাড়কিপ্টে ভাই এর কাছে পাঁচশো টাকা চেয়েছিলাম। তা হাজার খান কথা। আমার মারে কবরে পাঠাইছে। জমিজিরেত যা আছে কবরে নিয়ে যাবে। 

:মিয়াভাই ওরে টাকা দাওনা কেন । দিয়ে দেও। ছেলে বড় হয়েছে । তার এটা ওটা খরচা লাগে।

চরম বিরক্তির সাথে টাকা বের করে দেয় রমজান। এই হয়েছে আর এক আপদ। এক আপদ বিদায় হযেছে আর এক আপদ এসেছে। সারাদিন সব ব্যাপারে নাক গলানো চাই। আলতা বাড়ির ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলে, 

:ছেলের ব্যাপারে এত কিপ্টেমি করা ঠিক না। একটাই তো ছেলে। তাছাড়া ওরে বিয়ে দেয়াও দরকার। সেদিকেও তোমার গা নেই। 

ভেতর বাড়িতে পা রাখে আলতা। রমজান ডাকে, শোন আলতা। এখানে বস।

:এখন বসব কি। ম্যালা কাজ পড়ে আছে। রান্ধার সময়। 

:থাক ওসব পড়ে। শোন কি ভাবলি? আরতো দেরি করা ঠিক না। মানুষরে বিশ্বাস কি। হয়তো সব নিজেদের নামে রেকর্ড টেকর্ড করায়ে নিচ্ছে। তখন কিন্তু বুক চাপড়ায়েও কুল পাবিনে। ছেলে নেই পুলে নেই, নিজের একটা ভবিষ্যত তো আছে। 

:আমার একটা পেট । কি আর আমার ভবিষ্যত বলো। ওসব হাঙ্গামা করতে পারব না।

:হাঙ্গামা আর কি। তাছাড়া তোর কিইবা বয়স।  ইচ্ছে করলি আবার বিয়েও করতি পারিস। টাকা পয়সা থাকলে ভাল ঘরে বিয়ে হবে বুঝেছিস। 

:তাতো বুঝলাম। কিন্তু মিয়াভাই বিয়ে আমি আর করবো না। কপালে সুখ থাকলে মাত্র ছয় বছরের মাথায় জলজ্যান্ত স্বামীটা মরতো না। একটা পোলাপানতো অন্তত  থাকতো।

:আমার সন্দেহ হয় তোর স্বামীর মরার পেছনে তোর ভাসুর দেওরের হাত আছে। মাছ ধরতে গিয়ে মারা পড়ল। সাথে  তো ওরাই ছিল। সবাই বাঁচে থাকল শুধু সে মরল কেন? 

:বড়শিতে নাকি হাঙ্গর পড়েছিল। বড়শির টানে পানিতে পড়ে গিয়েছিল। অন্য হাঙ্গর এসে টেনে ছিঁড়ে খেয়েছে। হাওড়ে অমন হয় আকছার।

:তোরও যেমন বুদ্ধি! বড়শিটা তোর স্বামীরেই বা টানতে গেল কেন। ওরা নিশ্চয়ই বলেছিল। দেখ এত অল্প বযসে স্বামীহারা করল তোরে। তোরে বিধবা করল! তোর দিকে তাকালে আমার সহ্য হয় না। তুই  মাত্র একটাই বোন আমার। 

রমজানের চোখ ছলছল করে। সেদিকে তাকিয়ে চোখে জল নামে আলতারও। শাড়ির অাঁচল দিয়ে চোখ মোছে। 

:তা তুমি এখন কি করতে বল?

: আমি বলি কি তুই শ্বশুর বাড়ি যা। চাইলে আমিও সাথে যেতে পারি। তোর দেওর ভাসুরকে বল তোর ভাগের জমিজমা ভাগ করে দিতে। দিতে চাইবে না। কিন্তু আমি সাথে থাকলে নাও করতে পারবে না। তারপর জমিজমা বিক্রি করে টাকা পয়সা নিযে চলে আয়। এখানে তোরে জমিজমা কিনে দি। চাষবাস হোক। তোর পর দেখে শুনে তোরে একটা নিকে দিয়ে দেব।

:শ্বশুরের ভিটে একবারে ছেড়ে দিয়ে আসব। স্বামীর নিজ হাতে কেনা  ভিটে বেঁচে দেব?  তার দরকার কি। বরং ভাগাভাগি করে ওখানেই থাকি, চাষবাস করি। বর্গা দিয়ে দি। বছরান্তে  গিয়ে পাওনা বুঝে নিয়ে আসব। 

:তোরও যেমন বুদ্ধি । আরে স্বামীর মৃত্যুর পর আর শ্বশুরের ভিটে কি রে।  ওখানে সস্পত্তি রাখলে কি আর তা থাকবে। সেই ওদেরই মুঠির মধ্যে  থাকবে । ও ভাগ করা আর না করা সমান। 

:তাও ঠিক। তা কবে যেতে বলছ মিয়াভাই?

: শুভ কাজে দেরি করে লাভ কি। চল যাই সামনের সপ্তাহেই। 

: ঠিক আছে । তুমি যখন বলছ। মা দুই হলেও কোনদিন তা বুঝতে দাওনি আমায়। ঠিক আছে যাবার আয়োজন করো। 

উৎফুল্ল­  মুখে রমজান বলে, 

:তাহলে ঝামেলা সব মিটে গেল। তোরে নিয়েইতো আমার যতো চিন্তাা। তা এখন এই হুক্কাটা ভাল করে সেজেদে তো। পাইকাররা আসবে ধান কিনতে। তোর শ্বশুরবাড়ি যেতেওতো হাতে কিছু পয়সা দরকার। কখন কি লাগে।  ধান বেঁচে কিছু গোছগাছ করে নি। 

  ( চলবে)