ফোন নিয়ে নানা ঘটনা – রক্তবীজ ডেস্ক

ফোন নিয়ে নানা ঘটনা - রক্তবীজ ডেস্ক

১৮৭৬ সাথে আলেক্সান্ডার গ্রাহামবেল টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন।তার সেই কনসেপটের উপর ভিত্তি করে আজকের মোবাইল ফোন এসেছে, যা ঘুরছে আমাদের সবার হাতে হাতে। প্রযুক্তি আনে স্বাচ্ছন্দ্য আর তার ধারায় ঘটে কত না মজার মজার ঘটনা।  এমন কতকগুলি মজার ঘটনা আজ বলব।

 

১। স্টিভ ওযনিয়াক, এপলেরসহ-প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম যে নাম্বারটি নিয়েছিলেন তা ছিল ৮৮৮-৮৮৮-৮৮৮৮। তিনি দ্রুতই নাম্বারটি বদলাতে বাধ্য হন, কারণ তিনি প্রচুর রঙ নাম্বার থেকে ফোন পেতেন। এগুলোর বেশীরভাগই আসত বাচ্চাদের কাছ থেকে ভুলে চাপ লেগে।

 

২। ওয়াশিংটন-মস্কো হটলাইন ওরফে লাল ফোনটি ছিল ডাইরেক্ট লিংক। ষাটের শতকে এটি যুক্ত করেছিল পেন্টাগন এবং ক্রেমলিনকে। এই সংযোগের কারণ ছিল দ্রুত যোগাযোগ করা এবং নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে চলা।

 

৩। গুগল তার লাইভ ট্রাফিক ফিড আপডেট করে সারা বিশ্বে এন্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস ব্যবহার করে।

 

৪। জাপানের ফোনগুলো সব হয় ওয়াটারপ্রুফ। কারণ জাপানিজ কিশোররা সারাক্ষণই ফোনে কথা বলে। এমনকি যখন তারা গোসল করে তখনো।

 

৫। ১৯৯৬ সালে মালয়েশিয়ান কোম্পানি যখন একটি মোবাইল ফোন চুরির উপর ইনভেস্টিগেশন করছিলেন তখন তারা দেখেন জেলেরা এদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করছেন। আসলে তারা ফোনটিকে উচ্চ মাত্রার শব্দ তৈরীর যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন যাতে মাছেদের আকৃষ্ট করতে পারেন!

 

৬। আই বি এম একটি টাচ ফোন বের করেছিলেন যা থেকে ইমাইল করা যেত। ১৯৯৩ সালে তারা ফোনটি বের করেন।

 

৭। ১১২ হল সবচেয়ে কমন আন্তর্জাতিক ইমার্জেন্সি নম্বর। বেশীরভাগ দেশেই নম্বরটি আপনাকে স্থানীয় ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগাযোগ করিয়ে দেবে।

 

৮। ইউরি গ্যাগারিন, মহাকাশ্চারী প্রথম মানব, পুনরায় প্রবেশের সময় তাকে ক্যাপ্সুল থেকে বেরিয়া যেতে হয়। প্যারাস্যুটে করে কয়েক মেইল পেছনে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তিনি এবং একজন কৃষকের কাছে ফোন ধার চান যাতে তিনি মস্কোতে কল করতে পারেন!

 

৯। ২০১৩ সালে মোবাইল ফোনে বার্তা প্রেরণের হার ছিল ৯ ট্রিলিয়ন। এগুলো সারা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মাঝে ভাগ করে দিলে জনপ্রতি পড়বে ১২০০ টি বার্তা।

 

১০। হ্যাকার কেভিন মিটনিক তার জীবনের একটি সময় নির্জন কারাবাসে কাটিয়েছিলেন। কারণটি ছিল মজার। প্রসিকিউশন জজকে কনভিন্স করেছিল এই বলে যে, তিনি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারেন, শুধু টেলিফোনে শিষ দিয়েই।

 

১১। ১ টন মোবাইল ফোনের আবর্জনা ৬০ টন সোনার আকরিকের চেয়ে বেশী স্বর্ণ বহন করে।

 

১২। কার্ল্টন রিচ ছিলেন জেলে যখন তিনি তার প্রেমিকাকে ফোন করেন। তার প্রেমিকা আরেকটি ফোন দিয়ে একই সময় জেলে কল করেন। প্রেমিকার ফোনের রিসিভার দুইটি মুখোমুখি রাখা হয় এবং এভাবে জেলে থেকেই তিনি নিজের রিলিজ অর্ডার দেন। কার্টন মুক্ত হয়েছিলেন, তবে মাত্র ৩ দিন পরেই তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।

 

১৩। পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত বার্তা প্রেরণকারী হলেন নরওয়ের সোনজা ক্রিশটিয়ানসেন। তিনি বার্তা পাঠাতে সময় নেন মাত্র ৩৭.২৮ সেকেন্ড। বার্তাটি ছিল- “The razor-toothed piranhas of the general Serrasalmus and Pygocentrus are the most ferocious freshwater fish in the world. In reality, they seldom attack a human.”

 

(সংগৃহীত )