পটুয়াখালীর  আকর্ষণ – রক্তবীজ ডেস্ক

পটুয়াখালীর  আকর্ষণ - রক্তবীজ ডেস্ক

পটুয়াখালীর  আকর্ষণ - রক্তবীজ ডেস্ক

 পায়রা নদীর ইলিশ মাছ

 

পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যায় । পায়রা নদীর ইলিশ স্বাদে অতুলনীয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে এর কদর রয়েছে। পর্যটকরা পটুয়াখালীতে এলেপায়রা নদীর ইলিশের স্বাদ নিতে কখনোই ভুল করে না।  এই মাছ বেশি লবণাক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। এই মাছ বড় বড় নদী এবং তৎসংলগ্ন সাগর মোহনায় পাওয়া যায়।

তরমুজ

 

পটুয়াখালী জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়। গ্রীষ্ম মৌসুমের সবচেয়ে পুষ্টিকর সুস্বাদু ফল তরমুজ। জেলার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় বাউফল, দশমিনা, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ দুমকি উপজেলায় প্রচুর পরিমান তরমুজ উৎপাদন হয়।  জেলার তরমুজ মৌসুমের শুরুতেই বাজারে দেখা মেলে এবং বাংলাদেশের সকল প্রান্তে ছড়িয়ে যায়।

  বাউফলের মৃৎশিল্প :

 

বাউফলের মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিলাস সামগ্রী এখন বিশ্ব বাজারে। পটুয়াখালীর বাউফলের মাটির তৈরি মৃৎশিল্প বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্ত থেকে নান্দনিক বৈচিত্রের শৈল্পিক সম্ভার নিয়ে এখন বিশ্ব বাজারের বিপনীতে ঠাঁই নিয়েছে। মৃৎশিল্পীদের মাটির তৈরি দৃষ্টিনন্দন বিলাস সামগ্রী ইটালি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স , ডেনমার্ক, ইউকে, স্পেন , জাপান, ইউএস ও নিউজিল্যান্ডে বেশ চাহিদা থাকায় ওই সমস্ত দেশে রপ্তানি হয়। এখানে গার্হস্থ্য জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন হাড়ি, পাতিল, কলস , থালা, বাসন , জলকান্দা, জালের কাঠি ইত্যাদি তৈরি করা হয়।    

সোনার চর :

পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে জেগে ওঠে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সোনার চর। এখানে রয়েছে বিস্তৃত বনভূমির পাশাপাশি ০৭ (সাত) কি.মি. দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংরক্ষিত এ বনভূমি বন্য প্রাণীদের জন্য অভয়ারন্য ঘোষনা করে। সোনার চরকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে রুপ দেওয়ার উদ্দেশ্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ, এগুলো বাস্তবায়ন হলে সোনার চর হবে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আর্কষণীয় বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র।