সাপুড়ে / লিয়াকত হোসেন খোকন
সাপুড়ে ছবির কাহিনিকার ও গীতিকার ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
সাপুড়ে মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩৯ সালের ২৭ মে।
কানন দেবী – পাহাড়ী সান্যাল অভিনীত ” সাপুড়ে ” ছবির উল্লেখযোগ্য গান হলো:
আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ,
ঐ পাহাড়ের ঝর্ণা আমি ঘরে নাহি রই গো
উধাও হয়ে বই।
চিতা বাঘ মিতা আমার,
গোখরো খেলার সাথী,
সাপের ঝাঁপি বুকে ধরে
সুখে কাটাই রাতি।
ঘূর্ণী হাওয়ার উড়নী ধরে নাচি তাথৈ থৈ।
কথা: কাজী নজরুল ইসলাম। কন্ঠ: কানন দেবী।
২.
হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল,
এনে দে, এনে দে, নৈলে রাধব না, বাঁধব, না চুল,
কুসমী রং শাড়ী চুড়ি বেলোয়ারি
কিনে দে হাট থেকে,
এনে দে মাঠ থেকে
বাবলা ফুল, আমের মুকুল।
নৈলে রাধব না, বাঁধব না চুল।
কুঙ্কুম পাহাড়ে, শাল-বনের ধারে
বসবে মেলা আজি বিকেল বেলায়।
দলে দলে পথে চলে সকাল হ’তে
বেদে -বেদেনী নূপুর বেঁধে পায়।
যেতে দে ঐ পথে বাঁশী শুনে শুনে পরাণ বাউল।
নইলে রাধব না বাঁধব না চুল।
কথা ঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
৩.
কলার মান্দাস বানিয়ে দাও গো,
শ্বশুর সওদাগর,
ঐ মান্দাসে চড়ে যাবে বেউলা লক্ষিন্দর,
কলার মান্দাস।
ওগো কূল -বালা, নে এই পলার মালা,
বর তোর ভেঁড়া হ’য়ে রইবে মালার ভয়ে
ও বৌ পাবি নে, জীবনে সতীন জ্বালা।
আমরা বেদেনী গো পাহাড় দেশের বেদেনী।
গলার ঘ্যাগ, পায়ের গোদ, পিঠের কুঁজ,
বের করি দাঁতের পোকা, কানের পুঁজ ;
ওষধ জানিলো, হোঁৎকা স্বামীর
কোঁৎকা খায় যে কামিনী।।
পেত্নী পাওয়া মিনসে গো
ভূতের ধরা বউ গো।
কালিয়া পেরেত মামদো ভূত
শাঁক -চুরি হামদো পুত
পালিয়ে যাবে, বেদের কবচ লও গো।
বাঁশের কুলো, বেতের ঝাঁপি, পিয়াল পাতার টুকি।
নাও ওগো বৌ, হবে খোকা খুকি।
নাচ, নাচ, নাচ – বেদের নাচ! সাপের নাচ!
সোলেমাণী পাপর নেবে! রঙিন কাঁচ!
কথা: কাজী নজরুল ইসলাম।
৪.
দেখি লো তোর হাত দেখি।
হাতের হলুদ -গন্ধ, এলি রাঁধতে রাঁধতে কি?
মনের মতন বর পেলে, নয় কন্যা ছয় ছেলে।
চিকন আঙ্গুল দীঘল হাত, দালান -বাড়ী ঘরে ভাত,
হাতে কাঁকল পায়ে বেঁকী।
ও বাবা! এ কোন ছুঁড়ি? সাত ননদ তিন শ্বাশুড়ী।
ডুবে ডুবে খাচ্ছ জল, কার সাথে তোর পিরীত বল।
চোখের জলে পারবি তারে বাঁধতে কি?
দেখি লো তোর হাত দেখি।
কথা: কাজী নজরুল ইসলাম।
কন্ঠ: কৃষ্ণচন্দ্র দে।
৫.
কথা কইবে না কথা কইবে না বৌ,
তোর সাথে তার আড়ি আড়ি – আড়ি।
বৌ মান করেছে, যাবে চলে আজই বাপের বাড়ী।
বৌ কসনে কথা ক’সনে,
এত অল্পে অধীর হ’স নে,
ও নতুন ফুলের খবর পেলে
পালিয়ে যাবে তোকে ফেলে,
ওর মন্দ স্বভাব ভারি।
কথা: কাজী নজরুল ইসলাম।
কন্ঠ: কানন দেবী।
৬.
ফুটফুটে ঐ চাঁদ হাসেরে
ফুল -ফুটানো হাসি।
হিয়ার কাছে পিয়ায় ধরে
বলতে পারি আজ যেন রে
তোমায় নিয়া পিয়া আমি
হইব উদাসী।
কথা: কাজী নজরুল ইসলাম।
কন্ঠ: কানন দেবী ও পাহাড়ী সান্যাল।
৬.
পিছল পথে কুড়িয়ে পেলাম
হিজল ❀ ফুলের মালা।
কি করি এ মালা নিয়ে বল চিকণ -কালা।
নই আমি সে বনের কিশোর,
তোর ফুলের শপথ, নই ফুল -চোর,
বন জানে আর মন জানে লো, আমার বুকের জ্বালা।
ঘি -মউ -মউ আম -কাঁঠালের পিড়িখানি আন,
বনের মেয়ে বন -দেবতায় করবে মালা দান
লতা -পাতার বাসর -ঘরে
রাখ ওরে ভাই বন্ধ করে,
ভুলিসনে ওর চাতুরীতে, ওলো বনবালা।
কথা: কাজী নজরুল ইসলাম।
কন্ঠ: কানন দেবী, মেনকা দেবী ও পাহাড়ী সান্যাল।
৭.
আমার এই পাত্রখানি
ভরে না সুধায় জানি,
আমি তাই বিষের পিয়াসী।
চেয়েছি চাঁদের আলো,
পেয়েছি আঁধার কালো,
মনে হয় এই তো ভাল,
ভাল এই কাঁটার জ্বালা।
চাহিনা ফুলের মালা – ফুলের হাসি
আমি তাই বিষের পিয়াসী।
কথা: অজয় ভট্টাচার্য।
কন্ঠ: কৃষ্ণচন্দ্র দে।
দেবকী কুমার বসু পরিচালিত ” সাপুড়ে ” ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩৯ সালের ২৭ শে মে – পূর্ণ ছবিঘরে।
চিত্রনাট্য: দেবকী কুমার বসু।
কাহিনি: কাজী নজরুল ইসলাম।
সুরকার: রাইচাঁদ বড়াল।
চিত্রগ্রাহক: ইউসুফ মুলজী।
সম্পাদনা: কালী রাহা।
নিউ থিয়েটার্সের ব্যানারে নির্মিত ” সাপুড়ে ” ছবিতে অভিনয় করেছিলেন:
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য্য: জহর।
রতীন বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশুন।
পাহাড়ী সান্যাল: ঝুমরো।
কানন দেবী: চন্দন।
কৃষ্ণচন্দ্র দে: ঘন্টাবুড়ো।
শ্যাম লাহা : তেঁতুলে।
অহি সান্যাল: গুট্টে।
সত্য মুখোপাধ্যায়: ঝন্টু।
মেনকা দেবী : মৌটুসী।
প্রফুল্ল মুখার্জী : বুড়ো সর্দার।
নরেশ বসু : বিশুনের সহকারী।
এ ছাড়া অভিনয় করেছিলেন:
মণি বর্ধন, ইন্দ্র বসু, হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রজবাসী, শরদেব রায়, আলাউদ্দিন সরকার, আগা আলী, খেমচাঁদ, রতনলাল, ব্রজবল্লভ পাল, খগেন পাঠক এবং আরও অনেকে।
ছবির কাহিনি:
এক ভবঘুরে সাপুড়ে দলের ওস্তাদ সে। নাম তার জহর।
দলের প্রত্যেকটি লোক তাকে ভয় করে যমের মত, ভক্তি করে দেবতার মত। শুধু দলের একটি মাত্র লোক মনে মনে কামনা করে জহরের মৃত্যু ,
কেমন করে জহরকে চূর্ণ করে একদিন সে সর্দার হয়ে উঠবে, সেই কল্পনায় চঞ্চল হয়ে ওঠে।।
সেদিন নাগ – পঞ্চমী। পূজার্চনা শেষে জহর বিষধর একটি কালীয়নাগের উন্মত্ত ফণার সুমুখে তার অকম্পিত করতল পেতে ধরলো। মূহুর্তে একটি তীব্র দংশন । দেখতে দেখতে জহরের সর্বশরীর সেই সাপের বিষে একেবারে নীল হয়ে গেল।
জহর কিন্তু নিষ্কম্প, নির্বিকার – কিছুক্ষণ পর ধীর গম্ভীর কন্ঠে, সে মন্ত্র উচ্চারণ করতে লাগলো এবং ধীরে ধীরে বিষমুক্ত হয়ে উঠলো।
মুখ কালো করে বিশুন ধীরে নীরবে সেখান হতে সরে গেল।
ঠিক এমনই করে আজ পর্যন্ত জহর নিরানব্বইবার নিজের দেহে সর্পদংশন করিয়ে অবলীলাক্রমে বিষমুক্ত হয়েছে। এইবার শততম এবং শেষতম সর্পদংশনে সর্পের বিষ মন্ত্রবলে আপন দেহ হতে টেনে বের করতে পারলেই তার কঠোর ব্রত উদযাপিত হবে – অর্থাৎ সে সর্পমন্ত্রে সিদ্ধকাম হবে।
এমন সময় হঠাৎ একদিন জহর দেখলো ক্ষীণস্রোতা একটি নদীতে –
কলার ভেলার উপরে পরমাসুন্দরী এক বালিকার মৃতদেহ ভেসে চলছে –
জহর সাপুড়ে জাতির স্বধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে নদীর জল হতে ওই মৃতা বালিকার দেহ তুলে নিয়ে মন্ত্রবলে তাকে পুনর্জীবিতা করলো।
জীবন দান করলো বটে কিন্তু এই বালিকাটিকে নিয়ে সে কি করবে?
কে যে তার আত্মীয়, কে তার স্বজন –
কিছুই বালিকাটি বলতে পারে না।
বিষের প্রকোপে তার স্মৃতিশক্তি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
বেচারী নিরীহ নিরাশ্রয়া মেয়েটি করুণ কাতর দৃষ্টি মেলে জহরের দিকে তাকিয়ে থাকে।
মেয়েটির প্রতি জহরের কেমন যেন দয়া হয়।
সেই শেষে আশ্রয় দিয়ে ফেললো এই মেয়েটিকে।
কিন্তু জহর তার সংস্কারবশে বালিকার নারীবেশ একেবারেই সহ্য করতে পারলো না। ফলে সে তাকে পুরুষের বেশে সাজিয়ে পুরুষের মত মানুষ করতে মনস্থ করায় তাকে একরকম উগ্র ওষুধ পান করালো, যাতে তার মধ্যে নারীসুলভ কোন চেতনা জাগ্রত না হয়।
এবং তার নাম রাখলো – চন্দন। যা কিনা পুরুষের নাম।
চন্দন বালক নয়, দলের কেহই তা জানে না। জহরের এক প্রিয়তম শিষ্য, নাম তার ঝুমরো, সে -ই তার একমাত্র প্রিয় সহচর।
চন্দনকে ঝুমরো বড় ভালবাসে।
সেদিন সাপুড়েদের দলে প্রচন্ড এক আনন্দোৎসব চলছে – এমন সময় তুচ্ছ একটি কারণে বিশুনের পুত্র তেঁতুলের সঙ্গে ঝুমরোর ভীষণ কলহ বেধে গেল। প্রথমে মুখে মুখে। এরপর ক্রমে মারামারি। চন্দন ছিল দূরে দাঁড়িয়ে। ঝুমরোকে তেঁতুলের অকথ্য অপমান সহ্য করতে না পেরে সেও এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো এদের মাঝখানে। টানাটানি ধস্তাধস্তিতে হঠাৎ তার বক্ষাবরণ ছিন্ন হয়ে গেল। দলের সকলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখল –
চন্দন পুরুষ নয় – পুরুষের ছদ্মবেশে পরমাসুন্দরী এক তরুণী। জহর এসে লজ্জাবনতমুখী চন্দনকে টেনে একেবারে তার তাঁবুর ভিতরে নিয়ে গেল। দলের সমস্ত লোক একেবারে অবাক।
জহর এবার চন্দনকে খুব কাছে টেনে নিয়ে
বললো – ” চন্দন চন্দন, তুই আমার – একমাত্র আমার। ”
তার এতোদিনকার রুদ্ধ আত্মসংযমের বাঁধ ভেঙে পড়েছে –
দুকুলপ্লাবি বন্যার মত সেই উন্মত্ত আবেগ, সেই দুর্দমনীয় দুর্বার বাসনা তাকে যেন অন্ধ করে ফেলেছে।
চন্দন নিজেকে প্রাণপণে তার আলিঙ্গন হতে মুক্ত করবার চেষ্টা করেও কিছুতেই যখন জহরকে প্রতিনিবৃত্ত করতে পারলো না, তখন সে মিনতি কাতরকন্ঠে জহরকে স্মরণ করিয়ে দিলো –
তার মহাব্রতের কথা, তার নাগ মন্ত্রসাধনার সিদ্ধি লাভের কথা।
জহর যেন অকস্মাৎ তার সম্বিৎ ফিরে পেল।
মনসা – দেবীর প্রতিমার দিকে সে এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে তাঁবু হতে ছুটে বের হয়ে গেল।
আজই এই রাতেই সে তার শততম সর্পদংশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জীবনের মহাব্রত উদযাপন করবে।
বিষধর একটি সর্পের সন্ধান করে জহর যেমনই তার কর্ম সিদ্ধ করতে যাবে, অমনই বিশুন কোথা হতে ছুটে এসে সংবাদ দিল চন্দনকে নিয়ে ঝুমরো পালিয়ে গেছে।
জহরের নাগ – মন্ত্রসাধনার মহাব্রত আর সাঙ্গ করা হলো না। উন্মত্তের মত তাঁবুতে প্রবেশ করে সে ঝাঁপি খুলে বের করলো বিষধর কালীয়নাগ।
তারপর মহাকাল – মন্দিরে সেই কালীয়নাগকে মন্ত্রমূত করে ঝুমরোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিল।
ঝুমরো ও চন্দন তখন আনন্দে গান গাইতে গাইতে নিরুদ্দেশের পথে চলছে।
সহসা বিনামেঘে বজ্রপাতের মত সেই মন্ত্রপূত কালীয়নাগ এসে ঝুমরোকে দংশন করে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল।
বিষের বিষম যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে ঝুমরো সেখানেই বসে পড়লো।
চন্দন একেবারে স্তম্ভিত নির্বাক!
নিঃসহায়, নিরুপায়ের মত সে ছুটলো সেই পরিত্যক্ত তাঁবুর দিকে।
জহর তখন নিশ্চল প্রস্তরের মত বসে আছে। অশ্রুমুখী চন্দন এসে দাঁড়াল জহরের কাছে।
মৃদুকম্পিত কন্ঠে চন্দন বললো:
ঝুমরুকে সাপে কেটেছে। ঝুমরু আমার প্রাণাপেক্ষা অতি প্রিয়। সর্দার, তুই তাকে বাঁচা –
এও বললো, তাকে যদি সে বাঁচিয়ে দেয় তাহলে ঝুমরোর প্রাণের বিনিময়ে সে জহরের কাছে আত্মবিক্রয় করতেও প্রস্তুত।
জহর স্বপ্নাচ্ছন্নের মত একবার চন্দনের মুখে দিকে তাকালো তারপর চন্দনের পিছু পিছু গিয়ে ঝুমরোর বিষাক্ত নীলবর্ণ দেহকে বাঁচিয়ে তুললো।
চন্দনের আনন্দের অবধি নেই। কিন্তু চন্দনের সময় নাই, সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ –
ঝুমরোর প্রাণের বিনিময়ে সে আত্মবিক্রয় করেছে তাকে জহরের কাছে।
তাই ঝুমরোকে সে উত্তেজিত করুণ ভগ্নকণ্ঠে বললো –
তুই দূরে চলে যা ঝুমরো, আমি তোর নই।
বলতে বলতে চন্দনের উদগত অশ্রু আর বাধা মানে না।
অদূরে দাঁড়িয়ে জহর এই করুণ দৃশ্য দেখছিল।
যে কালীয়নাগের মন্ত্রবলে ফিরে এসে ঝুমরোকে বিষমুক্ত করেছে, সেই নাগ তখনও জহরের হাতে।
জহর অদ্ভুত দৃষ্টিতে একবার চন্দনের দিকে আর একবার ঝুমরোর দিকে তাকালো। তারপর সে সেই কালীয়নাগের দংশন নিজের বুক পেতে গ্রহণ করলো।
ঝুমরো চিৎকার করে বললো, ওস্তাদ কি করলি।
চন্দন ও জহর দুজনেই ছুটে জহরের কাছে এলো।
জহর ক্রুদ্ধ কন্ঠে বলে উঠলো – ঝুমরো শীঘ্র ওকে এখান থেকে নিয়ে যা – এ জঙ্গল থেকে, এ দেশ থেকে নিয়ে যা।
চন্দন আর ঝুমরো অগত্যা চলে গেল। ওস্তাদ যখন দেখলো তারা দূরে চলে গেছে । আর তখন জহর নাগমন্ত্র উচ্চারণ করলোনা, স্মিতহাস্যে আপন মনে বলে উঠলো ঃ ” সাপের মন্তর আর নয় – এইবার আমার মন্তর
– শিব -শম্ভু – শিব -শম্ভু “।
সাপুড়ে ছবির উল্লেখযোগ্য গান হলো:
হলুদ গাঁদার ফুল ; আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ;
কথা কইবেনা বৌ – ইত্যাদি।
Facebook Comments Sync