তাহমিনা কোরাইশী’র দুটি কবিতা 

বৃষ্টিতে ভিজি না

বৃষ্টিরা ঝালমুড়ি চিনেবাদাম রংধনু খোঁজা মন

আমি দিব্বি দাঁড়িয়ে আমার সীমানায়,

অক্টোপাস বহু বাহুডোরে

আমি আর বৃষ্টিতে ভিজি না

ভিজে যায় এই মন।

 

থই থই পথঘাট রাস্তাও নদী হলে

ইজিচেয়ারে এই শরীর এলিয়ে আমি

হাজারো নিষেধের বন্ধন চারপাশে

বয়সের দোষ মন বোঝেনা…

জলের স্রোত শুকিয়ে ধূধূ বালিয়াড়ি

চিরসবুজ পাতায় প্রজাপতি মন

দূরে দূরে ওড়ে নিভৃত বন।

 

চোখের প্রতিবিম্বে কাঁচপোকা টিপ

জুঁই হাসনাহেনা সুবাস

দু’বেনী দোলানো ভার্সিটি করিডোর

তোমার দূরন্ত ঠোঁটে ফোঁটে গোলাপ

পাপড়ি ছুঁয়ে থাকে অবুঝ মন।

 

বৃষ্টি তখন ইলশেগুঁড়ি

পাশাপাশি কাছাকাছি

বকুলতলায় আধো ভেজা শিহরণ…

 

শুধু আজ চোখের পাতা ভেজে

আমি আর বৃষ্টিতে ভিজি না।

 

জলের সাথে সখ্য

 

পাথরের বুকে ফোটে যে ফুল

জলের তৃষ্ণা কেনো নেই তার!

নিগূঢ় প্রেমে মহাজন অধীর

চাতক সদাই পিপাসায় কাতর

মেঘময় আকাশে তাকায়

মন-মন্দিরে সাজায় নৈবেদ্য নিভৃতে

পাথরের ফুল পাহারায়

কাঁটাদল নিত্য করে ঘায়েল

হাজারো প্রেমিক লালন করে নির্মম পাণ্ডুলিপি

 

মাদকতায় তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রেম প্রিয়াসী

নেশাঘোর বৈভবে জলের সাথে সখ্য গড়ে

ডুবে থাকে অথৈ পাথারে অর্ধেক শরীর

গাঢ় গভীর চেতনায় মিশে

পাথরে ফোটে সেই ফুল

বেঁচে আছে আনন্দধামে

পরশ চায় কেবলই প্রেমময় শরীর

পাথরের বুকে ফোটে যে ফুল

জলের তৃষ্ণা কেন নেই তার?