বিখ্যাতদের মজার গল্প – রক্তবীজ ডেস্ক

বিখ্যাতদের মজার গল্প - রক্তবীজ ডেস্ক

আর্শিবাদ

বিদ্যাসাগর-রচনাসম্ভার সম্পাদনা করার সময় প্রমথনাথ বিশী লিখেছিলেন, ‘ঈশ্বরচন্দ্র কেবল বিদ্যাসাগর বা করুণার সাগর নয়, রসসাগরও বটে।‘

এমনি একদিন এক বিধবার বিয়ে দেয়ার আসরে বিদ্যাসাগর গেছেন। সেখানে তাঁর এক বন্ধুর মেয়ে এসে তাঁকে প্রণাম করলে, তিনি সবাইকে শুনিয়ে বলেন,

– বেঁচে থাকো মা। বিয়ে হোক, বিধবা হও, আমি আবার বিয়ে দিই।

 

দর্পণ ও মেরুদণ্ড

নাট্যকার সেলিম আল দীনকে একদল নাট্যকর্মী তাদের নাটক দেখার আমন্ত্রণপত্র দিতে এলে তিনি তাদেরর  জিজ্ঞাসা করলেন,

– আচ্ছা তোমরা নাটক কেন করো বলো তো?

– স্যার, নাটক হলো সমাজের দর্পণ।

– নাটক সমাজের দর্পণ! (এই জাতীয় কথায় স্যার বড়ই বিরক্ত হতেন) তা এ কথাটা একটি অথেনটিক বইতে আমাকে তুমি দেখাতে পারো? শোনো, পত্রপত্রিকাও তো সমাজের দর্পণ, তাই না? এমন আরো আছে, বাজারে গেলে সমাজ চেনা যায়। এমন কত না দর্পণ আছে। এক সময় আবার শুনলাম শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আবার শুনলাম তরুণ সমাজ জাতির মেরুদণ্ড, এখন শুনি নারীপ্রগতি জাতির মেরুদণ্ড। এত মেরুদণ্ড নিয়ে একটা জাতি কি হাঁটতে পারে?

 

যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর

১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয় ভিক্টর হুগোর বিখ্যাত বই ‘লা মিজারেবল‘। তখন এটি নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। নানা সমালোচক এবং নানা খবর পত্র-পত্রিকায় আসে। কিন্তু সেখান থেকে ভিক্টর হুগো বুঝতে পারলেন না বইটি বিক্রি হচ্ছে কেমন।

অবশেষে তিনি এর উত্তর জানার জন্য প্রকাশককে খুব ক্ষুদ্র একটা চিঠি দিলেন শুধুমাত্র ‘?’লিখে। প্রকাশক ‘?’ এর মানে বুঝতে পারলেন এবং জবাব দিলেন ‘!’।

 

মাতালের জবাব

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অর্থিক অনটনের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনাকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। একদিন এক মাতাল উনার কাছে সাহায্য চাইতে এলে বিদ্যাসাগর বললেন,

– আমি কোন মাতালকে সাহায্য করি না।

– কিন্তু আপনি যে মধুসুদনকে সাহায্য করেন, তিনিও তো মদ খান, মাতাল।

– ঠিক আছে আমিও তোমাকে মধুসূদনের মত সাহায্য করতে রাজি আছি তবে তুমি তার আগে একটি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্য লিখে আন দেখি?