বিখ্যাতদের মজার গল্প – রক্তবীজ ডেস্ক
ধীরগতির ট্রেন
অনেক বছর আগের কথা। সে সময় আমেরিকান ট্রেনগুলো বেশ ধীরগতিতে চলত। দেরী করত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সকাল ৮টার ট্রেন রাত ৮টায় আসবে কী-না সে বিষয়ে সবাই থাকত সন্দিহান।
এমনই এক সময়ে বিখ্যাত রম্যসাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার কোথাও যাওয়ার জন্য ট্রেনে চেপে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর কামরায় উঠল টিকিট চেকার। মার্ক টোয়েন গম্ভীর মুখে চেকারের দিকে একটা ‘হাফ টিকিট’ বাড়িয়ে দিলেন। বুড়ো মানুষের হাতে ‘হাফ টিকিট’ দেখে টিকিট চেকার অবাক! তাঁর প্রশ্ন,
– কী মশাই, আপনি হাফ টিকিট কেটেছেন কেন? গোঁফ-মাথার চুল সবই তো সাদা। আপনি কী জানেন না চৌদ্দ বছরের বেশি হলে তার বেলায় আর হাফ টিকিট চলে না?
মার্ক টোয়েনের সোজা জবাব,
– যখন ট্রেনে চড়েছিলাম, তখন তো বয়স চৌদ্দই ছিল। কে জানত, ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে এত দেরী করবে!
দাড়ি কামানো রেজার
খ্যাতনামা আইরিশ সাহিত্যিক, সমালোচক ও নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ‘র মুখের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল তার দাড়ি। একবার একটি ইলেকট্রিক রেজর নির্মাতা কোম্পানির কর্তারা বাজারে আসা তাদের নতুন রেজরের প্রচারণায় শ’র এই দাড়িকে নিশানা করল। শ’কে তারা এই নতুন রেজার দিয়ে দাড়ি কামানোর অনুরোধ করল। বিনিময়ে দেয়া হবে লোভনীয় অঙ্কের টাকা। শ তাদের হতাশ করে বললেন,
– তার বাবা যে কারণে দাড়ি কামানো বাদ দিয়েছিলেন তিনিও ঠিক একই কারণে এ জঞ্জাল ধরে রেখেছেন।
কোম্পানির কর্তারা কারণটি জানতে আগ্রহী হলে বার্নার্ড শ বললেন,
– আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। একদিন বাবা দাড়ি কামাচ্ছেন। আমি তাকে বললাম, ‘বাবা তুমি দাড়ি কামাচ্ছ কেন!’ তিনি এক মিনিট আমার দিকে নীরবে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘আরে তাই তো, আমি এ ফালতু কাজ করছি কেন?’ এই বলে তিনি সেই যে জানালা দিয়ে রেজার ছুঁড়ে ফেললেন জীবনে আর কখনও তা ধরেননি।
দাঁড়িয়ে থাকা
মার্ক টোয়েন একবার শেভ করতে সেলুনে গেছেন। শেভ করানোর ফাঁকে ফাঁকে নাপিতের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি।
– আপনাদের শহরে এবারই প্রথম বেড়াতে এলাম।
– ভালো সময়ে এসেছেন। আজ রাতে আমাদের এখানে মার্ক টোয়েন বক্তৃতা করবেন। আপনি সেখানে যাচ্ছেন তো?
– হুম। আশা করছি যাব।
– টিকিট কিনেছেন?
– না তো!
– মনে হয় আর টিকিট পাবেন না। পেলেও আপনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
– আমার ভাগ্যটাই আসলে খারাপ। ভদ্রলোক যখনই বক্তৃতা করেন, তখনই আমাকে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়!
( সংগৃহীত)
Facebook Comments Sync