ব্যথা/ বেগম জাহান আরা 

ড. বেগম জাহান আরা

 

রাত থেকেই নানু কাঁদছে। খুব সহনশীল মানুষ বলেই সবাই জানে তাকে। সেই মানুষটা কাঁদছে। ছেলের বৌ-এর  সময় নেই কাছে গিয়ে দেখার। পৌত্র পৌত্রিরা জন্মশহরের বাইরে। কেউ চট্টগ্রাম, কেউ সিলেট, কেউ ঢাকা। তিন মেয়ে, আয়না, গয়না, ময়না দিনাজপুর, পাহাড়পুর আর রাজশাহিতে   ওদের শ্বশুর বাড়িতে। তবু তো গয়নার মেয়ে সুমনা মাঝে মাঝে আসে রাজশাহি থেকে। বড়ো মায়া করে মেয়েটা নানুকে। রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে অনার্স পড়ে সুমনা। তা মাসে একবার তো আসবেই নানুকে দেখতে। ক্যালেন্ডার দেখে হিসেব করে না নানু, পুর্নিমা দেখে তার হিসেব। বুঝতে পারে নাতনিটা কতোদিন আসেনি বা কখন আসবে। চাঁদ দেখে মনে হচ্ছে,আজ কালই আসবে সুমনা। নানুর কান্না তাই আবেগে দ্বিগুন হয়ে থাকছে। থেকে থেকেই কান্না আসছে তার। এবার সত্যি বলবে  নানু, কেনো এতো কাঁদছে সে দুদিন যাবত। 

 

বয়সি ছেলে কেরামত জোতদার, ব্যাস্ত তার ধানের হিসেব নিয়ে। সে ঠিক করেছে, এবার আর ধান বিক্রি করবে না। মিল থেকে চাল করবে। তারপর বিক্রি। ধান বিক্রিতে শুধু লোকসান। কেনো যে এতোদিন এই সাধারন বিষয়টা তার মাথায় আসেনি! জমি জিরেত কমতে কমতে তলায় ঠেকেছে। ছেলেমেয়েদের মানুষ করতেই গেছে সব, তাতে দুঃখ নেই কেরামতের। জমি বিক্রির ব্যাপারে বৌ নসিরন কান্নাকাটি  করলে সে বলতো, এই টাকা তো আমরা ফুর্তি করে উড়াই না বৌ। ছেলে মেয়ে মানুষ করি। আমি চাঁদের হাট বসিয়ে যাচ্ছি তোমার জন্যে। তুমি ভেবো না। এতো বিশ্বাস নিয়ে বলতো কথাগুলো, নসিরন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো স্বামীর মুখের দিকে। কথা সত্যি। ছেলেমেয়েরা মানুষ হয়েছে। পাশ দিয়ে চাকরি করছে সবাই। বড়ো ছেলে বলেছে, বাবা মায়ের টিনের ঘরটা পাকা করবে এই বছরেই। উপচে ওঠে একটা খুশির নিশ্বাস। তবু ফালা ফালা কলিজা থেকে ক্ষরণ হয়। স্বামীর মুখের বিষ তার সহ্য হয়নি কখনই।

 

নসিরন খুব গিন্নি। হাতে পায়ে লক্ষ্মী নিয়ে চলে সে। স্বশুর পছন্দ করে ঘরে এনেছিলো। লালপুর থানা হাইস্কুলের হেড মাস্টারের মেয়ে সে।  ক্লাস নাইনে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। শিক্ষা জিনিসটা কি, বাবার কাছে শুনে শুনে তার একটা ধারণা হয়েছিল। সে তো মেয়ে। লেখা পড়া না করেও চলে যাচ্ছে। কিন্তু তার ছেলেমেয়েদেরকে সে লেখাপড়া শেখাবেই। শহরমুখি করবে। তাই জমি বেচে ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শেখানোর ব্যাবস্থা নিতে তার আপত্তি নেই। নইলে নগদ টাকাই বা পাবে কোথায় তারা?  তবু জমির জন্য তার কষ্ট হয়। মনে হয়, কে যেনো বুকে খামচা দিয়ে খানিকটা মাংস তুলে নিয়ে গেলো। তখন কাঁদতে বসে। তবে বৌটার কান্নার ধৈর্য আছে। কাঁদতেও পারে।

 

নানুর কথা একটু বলি। তার নিজের মানুষটা তাকে মেরে বকে কাঁদিয়ে কষ্ট দিয়ে শক্ত পোক্ত করে গেছে। তবে মাঝে মাঝে কান্নার ঘটনা সবার জীবনেই থাকে।  নাটোরের সাধনগর গ্রামের এক বর্ধিষ্ণু পরিবারের নানু, নসিরন বিবি, কেনো কাঁদে, কেউ জানতে চায়নি গত দুদিনের মধ্যে। এটাও স্বাভাবিক তার জীবনে। স্বামী চলে যাওয়ার পর তেত্রিশ বছর ধরেই তার একা একা কাঁদার ইতিহাস। কিন্তু পঁচাত্তর বছরের নসিরন বিবির আজকের কান্না অন্যরকম। গলে গলে পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে তার। ফুঁপিয়ে বুক ভাসিয়ে মাটিতে লুটিয়ে লুটিয়ে কাঁদতে পারলে আরও ভালো হতো সেই সেদিনের মতো।  বুকটা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে তার সেই সেদিনের মতোই। এতো কষ্ট কয়েকটা শব্দে?

 

এমন একটা স্বপ্ন দেখার কোনো প্রয়োজন  ছিলো কিতাদের সংসারে বিধবা নিঃসন্তান এক জা ছিলো। একমাত্র সেই  শাসন করতো দজ্জাল স্বামীটাকে। শ্বশুরবাড়ির অতি প্রিয় বউ রোশেনারা। তার কাছে সংসারের সব নালিশ জানাতো স্বামী  কেরামত। এটা নিয়ে কতো যে অশান্তি হয়েছে তার জীবনে! ভাশুরকে সে দেখেনি। তার বিয়ের এক বছর আগে সাপের কামড়ে মারা যায়। বউটাকে কেউ যেতে দেয় নি। যেমন তার ভালো গুণ, তেমন তার মন্দ গুণ। খুব চতুরও। সবাইকে বশে রাখতে পারতো কথায় এবং কাজে।

 

স্বপ্নে দেখা দিয়েছে সে আজ। প্রায় চল্লিশ বছর আগের সেই কথাটা আজ আবার তাকে বললো ভাবি। কি দরকার ছিলো তার জর্জরিত বেদনার বাগানে আবার একবার নতুন বিষকাঁটা গাছ রোপনেরসমস্ত কষ্টের স্মৃতি দুহাত দিয়ে মুছে ফেলতেই চায় সে প্রতিদিন। না হলে নামাজ পড়া, দোয়া দরুদ পড়ায় ভুল হয়ে যায় বারে বারে। বহু বছরের ক্ষত সেরে গিয়েও ভেতরে টনটন করে ওঠে মাঝে মাঝে। আলীর দেয়া শারীরিক আঘাতের চেয়ে মুখের কথার আঘাত ছিলো আরও বহুগুন ধারালো। কটুভাষী মানুষটার দিল ছিলো ঝামার মতো। যেমন শক্ত, তেমন কর্কশ। কথা দিয়ে মানুষের গায়ের চামড়া তুলে নিতে পারতো সে। ভালোর মধ্যে ছেলে মেয়েদের মানুষ করার প্রবল চেষ্টাই তার একমাত্র সুখ।

 

সহ্য তো করতেই হয়েছে। চারটে সন্তান ফেলে যেতে পারেনি সে। আবার সাথে নিয়ে যাওয়ারও কোনো জায়গা ছিলো না। মা মারা গেলে বাবা বিয়ে করলো। না করেই বা করবে কি? পাঁচটা সন্তানের দেখাশোনা করা সম্ভব ছিলো না। রান্না খাওয়া বাসার কাজ কর্মও তো কম কিছু না। নসিরনের কোলে তখন দ্বিতীয় মেয়ে গয়না। মোদ্দা কথা হলো, সেখানে গিয়ে দুইবেলা আরাম করে ভাত খাওয়ার কপালও ছিলো না তার। উঠতে বসতে সে কথা বলতো কেরামত। যেনো কতো মজার বিষয়, এমনি ভাবে হেসে হেসে বলতো। মাঝে মাঝে ফাতিমার মনে হতো, মাথায় ছিট আছে  লোকটার।

 

একদিন প্রতিবাদ করেছিলো নসিরন। বলেছিলো, এই কথাটা বার বার বলে তোমার লাভ কি হয়?

আর যায় কোথায়? বোমা ফাটলো। চিৎকার করে বললো, আমার ইচ্ছা আমি বলবো। কথাটা তো মিছা না। না?

নিজের মা থাকলে তো  আর এমন হতো না।

সেটা কপাল তোমার। কুলক্ষনা মেয়েমানুষ কোথাকার!

গালাগালি করো না অসভ্যের মতো।

কি করবি তুই? যাবারও তো জায়গা নাই।

যাবো কেনো? ভাবিরও তো যাবার যায়গা নেই, তাকে তো বলা হয় না এসব কথা?

খবরদার! ভাবির সাথে তুলনা করলে, বটি দিয়ে মুখ চেঁছে ফেলবো। বুঝলি

বস্তির মানুষের মত ভাষা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় নসিরন। আপন মনে কাঁদতে কাঁদতে বলে, এতোদিন হয়ে গেলো, স্বামীর বাড়িতে শেকড়  শক্ত হলো না এখনও।

মানে কি রে, মানে কি? তেড়ে ওঠে কেরামত।

বোঝো না?

পরের বাড়িতে তাইলে থাকিস ক্যান? যা, চলে যা। তালাক দিয়ে দিই।

আবার সেই হারাম কথা? ছি

 

স্বর ভাসিয়ে কাঁদতে বসে যেতো নসিরন বিবি। অপমান আর হতোমান বিষাক্ত তীরের মত গায়ে গেঁথে থাকতো দুচার দিন। খেতে বসতে উঠতে শুতে বিষের খোঁচায় জর্জরিত শরীরে জ্বর এসে যেতো মাঝে মাঝে। ছেলেমেয়েরা চোরের মতো লুকিয়ে লুকিয়ে থাকতো। পারতপক্ষে বাবার সামনে পড়তে চাইতো না। মাকেও সান্ত্বনা দিতো জানতো না তারা।

 

নির্বিকার কেরামত। যেনো কিছুই হয়নি। ভাবির কাছে গিয়ে পেয়াজ মরিচ সর্শের তেল দিয়ে মেখে মুড়ি বা চাল ভাজা খেতো। সাথে এককাপ চা। কোনদিন ভাবি সন্ধেবেলায় এককাপ চা নিয়ে আসতো নসিরনের কাছে। হয়তো তার মন ভালো হয়নি তখনও। বলতো, চা খাবো না ভাবি।

শোন, পুরুষ মানুষকে কখনও কখনও পাগল মনে করবি। নাহলে বাঁচবি কেমন করে?

তুমিও তাই মনে করতে ভাবি? চোখ মুছে প্রশ্ন করে নসিরন।

নে ধর, চা নে।

কথার উত্তর দিলা না ভাবি?

আমার মানুষটা ভালো ছিলো রে। সেই জন্য তো চলে গেলো। বাবা মায়ে চাইলো, আমার আবার বিয়ে দিবে। পারিনি রে। মনটা উপড়ে দিয়ে দিয়েছিলাম  ওকেই।

নসিরনের কান্না থামে না। বলে, এতো কেনো মুখ খারাপ ওর ভাবি?

-কি করবি বল? কপাল, সব কপাল। তোর ছেলেমেয়েরা মানুষ হচ্ছে। দুঃখের দিন শেষ হয়ে এলো।

-কিছুই হবে না ভাবি। স্বামী সম্মান না করলে  ছেলেমেয়েও করে না।

-আমার তো কেউ নেই। শুধু স্বামীর ভিঁটের গন্ধ শুঁকে পড়ে থাকি।

-একদিন সব তোমার ঘাড়ে ফেলে দিয়ে চলে যাবো।

হাসে রোশেনারা। বলে, এইবার ওঠ তো বোন, রান্না ঘরে যা। বাজার এনেছে কেরামত।

-আজ তুমি রান্না করো। আমি রাঁধবোও না, খাবোও না।

-পাগল! স্বামী থাকলে সংসার থাকে। সংসার থাকলে, অশান্তি থাকে। দ্যাখ আমার স্বামী নাই, অশান্তিও নাই। সন্তান নাই, স্বপ্নও নাই।

-আমার আবার কি স্বপ্ন দেখলা তুমি ভাবি?

-স্বপ্ন নাই? নাতি নাতনি, পোতা পুতনি হবে। তাদের আদর সোহাগ করে কলিজা ঠান্ডা করতে পারবি। কিছুই মনে থাকবে না সেদিন  নসি।

-তুমি কি আমাকে হিংসা করো ভাবি?

-কি যে বলিস! কিন্তু একটা কথা বলতো, আলীর সমস্যা কোথায়?

-তুমি জানতে চেও।

-নিজেই বলতে যাচ্ছিলো একদিন। বলতে দিই নি।

-আমি জানি। তোমাকে পেলে ও খুশি হতো। অপছন্দের এই আমাকে নিয়ে থাকার জন্যই রাগ ওর।

 

সেই ভাবি এতদিন পরে স্বপ্নে নসিরনের কাছে এসে আবার সেই গল্প তুলেছিলো। আবছা শরীর থেকে কথা ভেসে আসছিলো। আলী বলেছিলো, আমি তো রাগ করিনা ভাবি। রাগটা আমার ঘিন্নার প্রকাশ। যে সম্পর্কের ভিত্তিই  ঘিন্না, সেখানে মিঠা কথা আসতে চায় না ভাবি। 

 

কথাটা শুনে চার সন্তানের জননী নসিরনের মনে হয়েছিলো, বুকের ভেতর একটা বোমা ফাটলো। চুর্ন বিচুর্ন হয়ে মরেই গেলো সে। কলিজা হৃদপিন্ড ফুস্ফুস ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। রক্ত গড়িয়ে পড়ছে নাক মুখ দিয়ে। ঝলসে  গেছে ভেতর বাহির সব। ঘিন্নার সংসার করেছে সে? ঘিন্নার সন্তান ধারন করেছে সে? এতো অসম্মান? এতো  অপমান? হীনমান হতমানের ব্যাথায় তার শরীরটা গলে খুলে খুলে যাচ্ছে। শরীরের লোমকূপগুলো পর্যন্ত ভিজে জবজবে হয়ে গেছে রক্তে। ইঁদুর মারা বিষ খেতে চেয়েছিলো। রক্ষা করেছিলো ভাবিই।

 

তারপরেও এই সংসারে দিন কাটিয়েছে বিস্তর। ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়েছে। নাতি নাতনি পোতা পুতিন হয়েছে। আদরে সোহাগে বুকে করে রেখেছে তাদের। কেরামত হঠাত মারা গেলো। দেখে গেলো না নাতি পোতা। ভাবিও চলে গেলো বছর চারেক আগে। কিন্তু বুকের সেই ক্ষতটা থেকে গেলো কাঁচাই। ভাবির কথা ঠিক ছিলো না। নাতি নাতিনকে বুকে নিয়েও ভুলতে পারেনি নসিরন সেই চরম অসম্মানের কথাগুলো। কিছুতেই ভোলা যায়নি। এ কেমন জীবন কাটালো সে?

 

এতোকাল পর আবার সেই গল্প! সেদিনও কথাগুলো নসিরনকে  না বললেই পারতো ভাবি। গোপনেই রাখতে পারতো ঘাতক শব্দগুলো। কিন্তু রাখেনি। নসিরন কষ্ট পাবে জেনেও বলেছে। তাই বলে আবারও স্বপ্নে সেই কথা! তার কষ্ট কি ভাবি উপভোগ করে? সেদিনও করেছে? সেই একই রকম কষ্ট হচ্ছে তার। যেনো দেখতে পাচ্ছে, নিজের ফালা ফালা শরীরটা দড়িতে বাঁধা অবস্থায় ঝুলছে, দুলছে, রক্ত ঝরছে গড়িয়ে গড়িয়ে। ওটা কোনো মানুষ নয়। সবটাই ছিঁড়ে কেটে ফেলা কোনো প্রানীর শরীর মাত্র। 

 

সুমনা এলো নানুর ঘরে। শীতের কমলা রং বিকেলে সোনালি পুতুলের মতো রাজকন্যা। প্রান ভরে গেলো নসিমনের। আরে এ কি! আজ তো তার কাঁদার কথা সুমনার সামনে। কিন্তু সুমনা এসেই কান্না শুরু করেছে নানুকে জড়িয়ে ধরে।

 

কি হয়েছে রাজকন্যা? বল না? কাঁদছিস কেনো? পংখীরাজ ঘোড়া উড়িয়ে দেবো নাকি কাউকে ধরে আনার জন্য? কিছুই শোনেনা সুমনা। কেঁদেই যাচ্ছে।

 

মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় নানু। ভাবে, কাঁদুক কিছুক্ষণ। সেদিনের ছোট্ট রাজকন্যা, কবে এতোটা বড়ো হলো? একা একা কাঁদার জগত হয়ে গেছে? মনের মানুষও হয়ে গেছে কি?

 

ধিরে ধিরে শান্ত হয় সুমনা। সবই বলে নানুকে। ভালোবাসার মানুষ তাকে প্রতারনা করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে। এদিকে তার পেটে প্রেমিকের সন্তান।  তঞ্চকের প্রবঞ্চনার ব্যাথা আর অসহায়ত্ব তাকে পিষে মারছে। সান্ত্বনা পাচ্ছেনা কোথাও। সীমা ছাড়িয়ে গেছে তার যাতনা। দুর্বিসহ হয়েছে জীবন। বাঁচতে চায় না সে। এই বিপুল ব্যাথা সইতে পারছে না আর। কথা শেষ করে আবার  জারে জার হয়ে কাঁদতে থাকে সুমনা।

 

নসিরনের মনে হলো, পৃথিবীটা উল্টে পড়ে গেছে অতীতের দহে। সুমনা নয়, সেই কাঁদছে কিশোরী সুমনা হয়ে। সেই বঞ্চনা, সেই তঞ্চক চরিত্র, সেই বিফল মাতৃত্বের বেদনা, সেই অসহ্য জীবন, সেই সান্ত্বনাহীন সময়! সেই অসম্মান! ঝাঁঝরা কলিজার ক্ষরনশুধু ঘটে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা আলাদা। বিষয়টা আলাদা। খুব অন্য রকম আলাদা। কিন্তু ব্যথা তোআহা, ব্যথারও পরম্পরা হয় তবে?

কান্না থামিয়ে নানুকে প্রশ্ন  করে সুমনা, আমি কি করবো এখন? মা হবো, না মরে যাবো? একটা উত্তর চাই নানু। বলো, কিছু বলো। বলো, বলো