ধাওয়া -৫/ শাহানাজ শাহীন

ধাওয়া-7,8

ধাওয়া-5

ধারাবাহিক উপন্যাস 

ধাওয়া -৫/ শাহানাজ শাহীন

 

তুমি কেনো সুহাসিনীর বন্ধু নও ? মেঘের দাদাজান তার কাছে জানতে চাইল ।

” এর উত্তর দিতে হলে আপনাকে অবশ্যই তার সম্পর্কে জানতে হবে দাদাজান । “

“বেশ আমি জানতে চাই । বল? “

“কেনো জানতে চাইছেন দাদাজান? “

“কারণ ঐ মেয়েটির আছে লৌহ মেরুদণ্ড ।

যা তোমার নেই । সে কারণেই তার সম্পর্কে জানতে চাই । কেনো তাকে এ বাড়িতে আসতে বল না ? “

 

মেঘ তার দাদাজানের কথার মাথা মুন্ডু বুঝতে পারছে না । সুহাসিনীর মতো দাদাজানের মাথাটিও গেছে! 

হয়তো দাদাজান সুহাসিনীর সাথে গাছ নিধন মিশনে অংশ নিতে যাচ্ছেন । গাছের মগডালে এক পৌঢ় বৃদ্ধ ও এক কিশোরী বসে আছেন । কী ভয়াবহ ব্যাপার হবে ভাবা যায়! হয়তো গাছটি বেঁচেও যেতে পারে ।

” লৌহ মানবী? সে তো শুধুমাত্র একটি একগুঁয়ে রগচটা মেয়ে । এর মধ্যে লৌহমেরুদণ্ড দাদাজান কোথায় দেখলেন? তার একরোখামির সাথে অন্যদের সংযুক্ত করতে চায়  “

মেঘ অতি আশ্চর্য হয়ে কথাগুলো বলছিল ।

” তাই? দাদাজান ব্যঙ্গ করে বললেন । “

” না । শুধু তাই নয় । সে আমার পিছনে পড়ে আছে সেই দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে । “

“আচ্ছা । তার মতো মেয়ে সবার প্রতিবেশী হয় না । সবার পিছনে পড়েও থাকে না । তুমি সেদিক থেকে ভাগ্যবান নিঃসন্দেহে । “

“ভাগ্যবান? হুম হতে চাই না । “

দাদাজান একটি খবরের কাগজ মেঘের দিকে এগিয়ে দিলেন । বললেন, দেখ ও মন দিয়ে পড় ।

মেঘ খবরের কাগজটি হাতে নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে তার রুমে চলে যায় ।  সে ভাবে তার কি জানার আছে সুহাসিনী সম্পর্কে !

সে তাচ্ছিল্যের  সাথে খবরের কাগজটি টেবিলের উপর ছুড়ে ফেলে ।

সেদিনের গাছ নিধনের পরের দিন সুহাসিনীকে বাসস্টপে দেখা যায়নি । মেঘ কাটা গাছের গোড়ার দিকে তাকিয়ে থাকে । সে ভাবে সুহাসিনী হয়তো আরো কিছুদিন স্কুলে যাবে না । কিন্তু অবাক কাণ্ড সুহাসিনী স্কুলে শ্রেণিকক্ষে বসে আছে তাদের আগেই । ভাবাই যায় না । অদ্ভুত এক মেয়ে।

 

” দেখ নরেশের অবস্থা । পুঁচকে ছেলে তার সে কি ভাব ! যেনো বড় মানুষ । তার যা না বয়স সে এর চাইতে বয়স্ক হতে চায় ।”

কথাগুলো ক্লাসে রবিন বলছিল মেঘের কাছে , তাদের বন্ধু নরেশকে নিয়ে ।

আমি মনে মনে খুশিই হলাম সুহাসিনীকে স্কুলে দেখে । সবসময় চাইতাম সুহাসিনী সুবোধ বালিকা হোক । চুপচাপ থাকবে । আমার পিছনে পড়ে থাকবে না । আজ সুহাসিনী একদম আমার চাওয়া মতোই

লাগছে । সে ভীষণ রকমের গম্ভীর । চুপচাপ ।

তবে এখন পর্যন্ত আমার ভাবতেই খুব খারাপ লাগছে তার গাছটি আর নেই । আমি ভেবেছিলাম তাকে যেয়ে বলবো, “সুহাসিনী তোমার জন্য মন খারাপ লাগছে খুব । কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলাম ধ্যাত, না এমন কিছু বলা যাবে না । সে ভাববে আমি তাকে পছন্দ করি ।

আর শুরু হবে উৎপাত।”

 

বাড়ির উঠোনের ধারে বসে সুহাসীনির বাবা রহিমউদ্দিন ছবি আঁকছেন । সুহাসিনী একটি টুল টেনে এনে বাবার পাশে বসে । সে বাবাকে বললো ,” আচ্ছা এখন বুঝলাম তুমি কেনো এখানে এসে বসেছ । “

“যদি তোমার মাকে গতকালের বিষয়টি জানাই, তুমি কি কিছু মনে করবে? “

রহিমউদ্দিন তাঁর মেয়ে সুহাসিনীর কাছে জানতে চাইলেন ।

” বাবা এই মুহূর্তে তোমার আঁকা ছবি দেখতেই ভালো লাগছে । সত্যিই ভালো লাগছে,আপাতত এই আনন্দের মাঝে থাকতে চাই বাবা । অন্য কথা বলে মনোযোগ নষ্ট করো না  “

এভাবেই আমি বাবার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি ।

বাবা বলেছেন, তিনি কেমন করে তার প্রথম চাকুরি পেলেন । সেই কাজের মধ্য দিয়ে কলেজ শেষ করা ।

একদিন বাবা আমাকে অভিভূত করলেন ।

 

রহিমউদ্দিন ক্যানভাস থেকে মুখ তুলে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন ,

” তোমার আর মেঘের মধ্যে কি হয়েছে? “

সুহাসিনী বাবার কথায় অপ্রস্তুত হয়ে বললো,“কি বল বাবা ? কিছুই হয়নি । “

“ও, ঠিক আছে । বিড় বিড় করে বললেন হয়তো আমার ভুল । “

তিনি পুনরায় ছবি আঁকায় মনোযোগ দিলেন ।

” বাবা তুমি কেনো মেঘের কথা জিজ্ঞেস করলে? “

“এমনই , কোনো কারণ নেই । হয়তো তুমি সব সময় তার কথা বল তাই । “

“তাই? “

“হুম । “

“মেঘকে তোমার কেন ভাল লাগে ?”

“আমি ঠিক জানি না । আমার মনের হয় ওর চোখ অথবা হাসি । “

সুহাসিনী ছোট করে বলে ।

 

রহিমউদ্দিন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ । তারপর বললেন,

“হাসি ভালো লাগে, চোখ ভালো লাগে । কিন্তু তাকে কেমন লাগে? “

“কি? “

“শোনো সুহাসিনী তুমি যদি প্রকৃতি দেখ , তাহলে তার পুরোটাই দেখা উচিত । আংশিক নয় । “

“এটা কি বললে বাবা , এর অর্থ কি? “

“একটা সম্পূর্ণ ছবি অনেক কিছু ,তার কোনো একটি অংশের চেয়ে । একটা গরু তার নিজের কাছে একটা গরুই । একটা তৃণভূমির কাছে এর ঘাস ,এর ফুল । সূর্য বৃক্ষের মাঝে উঁকি দেয় , এটি আলোর মরীচিকা । আর তুমি এ সবগুলোকে একত্রে করেছ । এটা হতে পারে জাদুর মতো । “

সেই বিকেলের আগ পর্যন্ত আমি সত্যিই মেঘকে বুঝতে পারিনি , যখন আমি নিমগাছের উপরে ছিলাম । আমি একটি আটকানো ঘুড়ি নামাতে যাচ্ছিলাম । এটা অনেক আগায় আটকে ছিল । যেখানে আমি কখনোই উঠিনি । আমি যতই উপরের দিকে উঠছিলাম, ততই উপর থেকে দৃশ্য দেখে বিস্মিত হচ্ছিলাম । আমি আশ্চর্যজনকভাবে অনুভব করছিলাম নির্মল বাতাসের ঘ্রাণ । যেনো বুনো ঘাস আর সূর্যাস্তের মতো । আমি তার মধ্যে নিঃশ্বাস ফেলতে পারছিলাম না । আমার ফুসফুস এক অজানা সুমধুর গন্ধে আচ্ছন্ন!

” এ,,, ই তুমি আমার ঘুড়িটা পেয়েছ ?”

গাছের নীচ দাড়িয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে মেঘ বললো। আমি বললাম,

“মেঘ গাছের উপরে উঠ । খুব সুন্দর এখান থেকে দেখতে। না দেখলে বুঝবে না । “

“আমি পারব না । আমার কাজ আছে । “

সেই থেকে এই নিমগাছটি আমার অতি পছন্দের এক জায়গা । আমি সেদিন ঘন্টাখানেক বসেছিলাম , শুধু উপর থেকে এ পৃথিবীকে দেখতে । মেঘ মিথ্যে বলেছিল । তার কোনো কাজ ছিল না । আমি ঘুড়িটি নামিয়ে দিলে সে ঘুড়ি ওড়াবে । এই ছিলো তার কাজ । কতো রকমের সৌন্দর্য আমি দেখেছি এই গাছে উঠে । কোনো এক সময় বেগুনি অথবা গোলাপি আভার সূর্যাস্ত । কোনো একদিন দেখেছিলাম টকটকে কমলা রঙের সন্ধ্যা । দিগন্ত জুড়ে মেঘের দিকে ছুঁয়ে দিচ্ছে আগুন । এটা ছিল আমার বাবার মুখে বর্ণনাকৃত সূর্যাস্তের মতো । টুকরো টুকরো অংশ মিলে হতে পারে সম্পূর্ণ একটি জিনিস ।

কখনো কখনো আমি সেখানে একটু ভোরের দিকে যেতাম সূর্য উদয় দেখার জন্য ।

একদিন সকালবেলা আমি মনে মনে চিন্তা করছিলাম, কিভাবে সূর্য প্রাত্যহিক মেঘের ভেতর থেকে তার আলো ছড়িয়ে দেয় । আমি ভাবছিলাম বাবার কাছে এই বিষয়টি জানবো । তখনই গাছের নীচে চেঁচামেচি শুনলাম । আমি নীচে তাকিয়ে দেখলাম করাত হাতে নিয়ে কয়েকজন লোক গাছের নীচে জড়ো হয়েছেন। তারা উপরের দিকে তাকিয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছেন ।

তাদের মধ্য থেকে একজন বললেন,

এই মেয়ে তুমি গাছের উপরে কি কর ? তুমি উপরে থাকতে পারবা না । আমরা এই গাছ কাটবো ।

নীচে নাইমা আস।

গাছ?

হুঁ, এখন নাইমা আস ।

” কে বলেছে কাটতে, আপনি কি এটি কাটতে পারবেন?

যার গাছ তিনিই বলছেন ।

কেনো বলেছেন?

“এই মেয়ে তোমাকে এতো কথা বলবো কেনো।?

তিনি এইখানে ঘর করবেন । আর এই গাছ ঘরের জায়গায় পড়েছে । এখন তুমি নাইমা আস ।

আমাদের কাজ করতে দাও । “

“আপনারা এই গাছ কাটতে পারবেন না । কিছুতেই না” ।

“শোনো মেয়ে আমরা আর ধৈর্য্য ধারণ করতে পারতাছি না । তুমি না নামলে থানায় খবর দিমু । তুমাগ বাড়িতে খবর দিমু । অহন কও নাইমা আসবা, না তুমারেসহ গাছ কাইটা ফালামো? “

“কাটেন । আমারেসহ কাটেন । আমি নামছি না । আমি কখনোই নামবো না । “

স্কুলের বাস গাছের নীচে এসে থামে । মেঘ গাছের উপরের দিকে তাকায় । সুহাসিনীর চিৎকার শুনে ।

সে বলছে,

” মেঘ, তোমরা আমার সাথে থাক । উনারা গাছ কিছুতেই কাটতে পারবে না যদি আমরা সবাই

একত্রে থাকি । দয়া করে থাক আমার সাথে । ওদের গাছ কাটতে নিষেধ কর । তোমরা থাক আমার সাথে প্লিজ ।

মেঘ তোমার গাছের উপরে উঠার দরকার নেই । খালি থাক আমার সাথে । একটু থাক । মেঘ । মেঘ থাক ।

তারপর যা ঘটল আমার চোখের সামনে তা ছিল অস্পষ্ট । আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না ।

আমার মনে হচ্ছিল পুরো শহর এখানে জড়ো হয়েছে ।

কিন্তু আমি তখন পর্যন্ত অনড় অটুট বসে আছি গাছের উপর। আমি দুহাতে গাছের ডাল জড়িয়ে ধরে আছি সমস্ত শক্তি দিয়ে । আমার বাবাকে দেখতে পাচ্ছি নীচে । তিনি উপরের দিকে তাকিয়ে আছেন । তিনি গাছ কাটতে আসা লোকদের সাথে কথা বলছেন ।

লোকটি একটি বড় মই গাছের সাথে তাক করছেন ঠিক আমার কাছাকাছি । বেশ কজন ফটো সাংবাদিক জড় হয়েছেন ততক্ষণে । এই শহরে এমন ঘটনা বিরল। তারা আমার ছবি তুলছেন ।

বাবা মই বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করেছেন ।

তিনি বললেন,

” মাগো এখন নামার সময় । “

তিনি হাত বাড়িয়ে দিলেন আমার দিকে ।

আমি কাদঁছিলাম । মনে হচ্ছিল আমার হৃৎপিন্ড কেউ করাত দিয়ে পিষে দিচ্ছে । আমার চোখে জল গড়িয়ে পড়ছে । আমি বাবাকে কান্না জড়িত কন্ঠে বললাম,

“বাবা , উনাদের গাছ কাটতে নিষেধ কর ।”

“মাগো আমার কথা শোনো । তুমি নেমে আস।”

” বাবা দেখ কি অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য। তুমি সব কিছু এখন থেকে দেখতে পার । গোটা পৃথিবীটাকে ।”

” কোনো দৃশ্য আমার কন্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না । এখন নেমে আস মা। “

” না আমি পারবো না । “

“সুহাসিনী, তোমাকে নামতে হবে । এখনি ।

নেমে আস । “

” না বাবা । প্লিজ । নামতে বলো না । “

“নামতে হবে । এখনি । “

আমি নেমে আসি । টানা দুই সপ্তাহ কেঁদেছিলাম । একটা গাছের জন্য আমার দুঃখ । আমার আর্তনাদ ।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । আমি পারিনি বাঁচাতে ।

বোবা গাছ ছিল অক্ষম । জয় হলো মানুষের । প্রকৃতি কি অসহায় আমাদের কাছে । এই দুঃখ নিয়ে আমি স্কুলে গিয়েছিলাম । এবং চেষ্টা করেছি আমার সর্বাধিক দিয়ে ভালো লেখা পড়া করতে ।

আমার শক্তি আমার শিক্ষা । অনেক দূর যেতে চাই । জগতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয় ।

মানুষ চাইলে হয় ।

“সুহাসিনী? “

” জী ম্যাডাম । “

আমি আনমনা থেকে শিক্ষিকার ডাকে ফিরে তাকাই ।

“তূমি কি এর উত্তর জানো? “

ওম, পলাশীর যুদ্ধ?

“আমি নিশ্চিত যে এটাও একটা উত্তর । তবে আমার প্রশ্নের উত্তর নয় । আমি জানতে চাইছিলাম যুদ্ধ ক্ষেত্রে কি ঘটেছিল । কিভাবে ঘটেছে । কি ছিল তার নেপথ্যে ।

“ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা হেসে ওঠে । “

ক্ষেত্র ও সমদ্বিবাহু মিলিয়েই তো ত্রিভুজ ।

আমি হাবিজাবি ভাবছিলাম । আমার মন শ্রেণিকক্ষে নেই । স্কুলের বাসে আমি উঠি না । সেদিন থেকে যেদিন আমার নিমগাছকে হত্যা করেছে। এখন আমি সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছি । ইচ্ছে করেই অন্য পথে গেলাম । বিশাল ডালপালা ছড়ানো পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎ নিমগাছটি নেই ।

মাটির সাথে লেপটে আছে গোড়াটি সে দৃশ্য দেখতে চাই না । একে বাঁচাতে আমি কি করেছি সেটি বড় বিষয় নয় ,কিন্তু বিষয় হলো এ ব্যাপারটা কিছুতেই ভুলতে পারছি না ।

আমি আমার রুমে খাটের কোণায় বসে আছি ।

বাবা দরজায় টোকা দিচ্ছেন । আমি বাবাকে বললাম, “বাবা ভিতরে আস । “

বাবার হাতে কাপড়ে মুড়ানো একটি কিছু একটা দেখলাম। তিনি আমাকে নীচু সরে জিজ্ঞেস করলেন,

“কেমন আছিস মা? “

আমি বিড় বিড় করে বললাম,

“এটা তো একটা গাছ মাত্র বাবা। “

” নারে মা , এটা শুধুমাত্র গাছ ছিল না । এটি ছিল তোর বন্ধু। খেলার সাথি। “

বাবা তাঁর হাতে ধরা বস্তুটি থেকে কাপড় সরিয়ে নিলেন । আমি দেখে কেঁদে ফেললাম ।

আমার প্রাণের নিমগাছের ছবি । যেনো জীবন্ত ।

আমার হাসছি খুশিতে । খুব খুশি লাগছে।

বাবা বললেন,

“আমি কখনোই চাইনি তোমার মন থেকে গাছের প্রতি যে ভালবাসা দেখেছি তা চলে যাক । “

বাবা চোখে জল। আনন্দে চোখে জল । আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

“ধন্যবাদ বাবা । একটা অসাধারণ ছবি তুমি আমার জন্য এঁকেছো । এতো ভাল বাবা কি করে হয়!

এরপর থেকে রোজ সকালে এই ছবিটি দেখতাম । এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ।

এক সময় আমার চোখে আর জল এলো না ।

এখন আমি চোখে জল ছাড়া ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি । এই ছবিটিতে এখন কেবল আমি গাছ দেখি না , আরো অনেক কিছু দেখি ।

আমার চারপাশে সব কিছু দ্রুত বদলে যেতে থাকে ।

আমি খুব অবাক হলাম, মেঘের প্রতি কি আমার একই অনুভূতি আছে?

শাহানাজ শাহীন
শাহানাজ শাহীন