ওরা আসবে চুপিচুপি/ ফিরোজ শ্রাবন

ফিরোজ শ্রাবন

 

 

১৬ই ডিসেম্বরমহানবিজয়দিবস। বাঙালির জন্য দিনটা কতটা আনন্দের অথবা কতটা কষ্টের তা আমাদের  নতুন প্রজন্মকে বোঝানো খুবই জরুরী। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে আমরা তাদের গল্প বলতে চাই তারাশুনতে চায়না। কারণ হাজারো মিথ্যে আর বিকৃত ইতিহাস তাদের এতটাই অরুচি ধরিয়ে দিয়েছে যে তারা যাচাই বাছাই তো দুরে থাক, শুনতেই চায়না। তবেযারা শহীদ পরিবারের সন্তান তাদের জন্য এই দিনটা ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই। তাদের জন্য এই দিনটি অনেক বেদনার। তারা চাইলেও এই দিনটা ভুলে থাকতে পারেনা। এমনও হয়েছে এই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের দিনের মাত্র এক বা দুদিন আগে তারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। তাদের বেদনার আরও কারণ, আজ যাদের আত্মত্যাগে এই ১৬ই ডিসেম্বর হয়েছে তাদের পরিবার পরিজন কখনও কখনও  সে অনুষ্ঠানেও উপেক্ষিত। পত্রিকায় দেখতে পাই অমুক মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায়, তমুক মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও তাদের সংখ্যা বেশী নয়, তবুও মনেহয় সে সব মুক্তিযোদ্ধাকে যদি জাতি সমানভাবে মুল্যায়ন করতে পারতো হয়তো তারা আরো বেশী খুশি হতো। আমরা হতে পারতাম একটি সুশৃংখল আর কৃতজ্ঞ  এক জাতি ।যার নাম বাঙালি জাতি। সবচেয়ে বেশি দুঃখ লাগে যখন দেখি যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড়ে আসল মুক্তিযোদ্ধা আজ অবহেলিত। বর্তমান সরকারের চমৎকার মূল্যায়ন মুক্তিযোদ্ধাদের আশান্বিত করেছে। কিন্তু কোন প্রতিদানেই যেন তাদের ঋণ  শোধ হবার নয়। যখনই দেশেরউপর কোন অশুভ শক্তি ভর করে বা আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত আসে তখনই আমরা তাদের প্রচন্ডভাবে স্মরণ করি। তাদের তাজা রক্তের প্রতিদান আসলে ভুলে যাবার নয় । তারা যেন প্রতিনিয়ত আমদের দেশকে বলেযায়, ভালো থেকো আমার প্রিয় জন্মভূমি!

 আমরাওবলি, ”ওরা আসবে চুপিচুপি কেউ যেন ভুল করে গেয়োনাকো মন ভাঙা গান, সব কটা জানালা খুলে দাওনা।”

%d bloggers like this: